নিয়োগের দাবিতে পর্ষদের অফিস ঘেরাও করতে গেলেন টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। তবে পর্ষদের অফিসে পৌঁছনোর আগেই আটকে দেওয়া হল তাঁদের। নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাধা দেয়। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ হাতাহাতিও হয় টেট পরীক্ষার্থীদের।
বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস ঘেরাও করার জন্য উল্টোডাঙা থেকে মিছিল করে বিকাশ ভবনের দিকে রওনা হয়েছিলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সল্টলেকে ঢোকার মুখেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকায় পরিস্থিতি সামলাতে চলে আসে পুলিশ। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে, তাঁদের সঙ্গেই ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। তবে টেট চাকরিপ্রার্থীরা পুলিশের ঘেরাটোপ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিকাশ ভবন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি।
বুধবার সল্টলেকের ওই এলাকার ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভরত টেট পরীক্ষার্থীদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। তাঁদের জোর করে বিক্ষোভ স্থল থেকে একটি বাসের ভিতর তুলে দেওয়া হয়। তবে বাসের ভিতর থেকেও ওই চাকরিরপ্রার্থীরা তাঁদের অভিযোগের কথা বলতে থাকেন।
তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি অবিলম্বে আমাদের নিয়োগ করতে হবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আমাদের পরীক্ষা হয়। তার পর থেকে নিয়োগের অপেক্ষা করছি। কিন্তু নিয়োগ হয়নি।’’ বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, আলোচনার বহু অনুরোধ সত্ত্বেও তা সফল না হওয়ায় তাঁরা পথে নেমেছেন।
উল্লেখ্য, এসএসসি-র মতো টেটেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগের আন্দোলনকারীদের নিয়োগের ব্যাপারে সাহায্যের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন শাসক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তবে এসএসসি আন্দোলনকারীদের নেতার সঙ্গে অভিষেকের ওই বৈঠক চলাকালীনই তাঁর দফতরের বাইরে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, অভিষেক যেমন এসএসসি আন্দোলনকারীদের নিয়োগে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন, তেমনই টেটের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করুন। তাঁদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হোন।
(সৌজন্যে: আনন্দবাজার অনলাইন)