দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেজে রবিবার ধর্মতলায় প্রতীকী বিক্ষোভ দেখালেন রাজ্য গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন পথ নাটিকার মাধ্যমে অভিনব প্রতিবাদ জানান তারা। নিজেদের সভা মঞ্চকে অস্থায়ী নবান্ন বানিয়ে প্রতিবাদে নামেন । এদিন এই নবান্নে মন্ত্রী পারিষদ দল নিয়ে ঢুকলেন প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেই চাকরিপ্রার্থীরা নকল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর হাতে তুলে দিলেন নিয়োগের আবেদনপত্র!
জানাগেছে, ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে ১০৯ দিনে পড়ল রাজ্য সরকারি গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। এতদিন ধরে ধর্না চললেও রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই পথ নাটিকার মাধ্যমে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করলেন রাজ্য সরকারি গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা
কিন্তু কেন মুখ্যমন্ত্রী সেজে পথ নাটিকা?
চাকরি প্রার্থীরা জানান,’ প্রথমেই মার্জনা করবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার ধৃষ্টতা আমাদের নেই। সম্পূর্ণটাই কাল্পনিক। আমরা বড্ড অসহায়। এযাবৎ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা আমাদের অসহায়তার বার্তা তুলে ধরার জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিলাম। সবটাই হয়তো এরমধ্যে তুলে ধরা যায়নি। তারই কিছুটা অংশ তুলে ধরেছি মাত্র। আজও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা বঞ্চিত। আমরা দুর্নীতির শিকার। আমরা সুবিচার চাই। করজোড়ে অনুরোধ করছি প্রাপ্য চাকরিটুকু দিন।”
তারা আরও জানান, যেহেতু এটা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রনাধীন দপ্তর, সেহেতু মূল বিষয়বস্তুটাও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রিক। বিশ্বাস করুন, দিনের পর দিন আমরা আমাদের বঞ্চনার দাবী সমূহ একাধিকবার নবান্ন সহ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মহামিছিল কিংবা জেলা সফর চলাকালীন ওনার কাছে একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম ,প্রতিবারেই আধিকারিক কিংবা নিরাপত্তাবাহিনীর মাধ্যমে আমরা বার্তাটুকু দিতে পেরেছি। জানিনা ওই বার্তাটুকু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আদৌ পৌঁছেছিল কিনা। ঘটনাক্রমে একবার নবান্নের ধারেকাছে পৌঁছে গিয়েও সাময়িক অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিলাম।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ‘‘এই দফতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে বানিয়েছিলেন। তিনি চাইলে আজই নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’’
এদিকে এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চনার ৬৩০ দিন সম্পূর্ণ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আশার আলো দেখতে পেলেন না এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবাসরীয় দিনেও তাদের ঠিকানা সেই কলকাতার রাজপথ। আজ সোমবারও তারা পথে নামবে।