এবারের টেটে অংশ না নিয়ে ধর্মতলার মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করলেন প্রাইমারি ২০১৪ টেট পাস নট ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা। তারা বলছেন, ফের টেট দিয়ে কী করবো? ইতিমধ্যে পাস করে বসে আছি, চাকরি নেই। এদিন দেখা গেল, একদিকে যখন জুড়ে প্রায় সাত লাখ ছেলেমেয়ে প্রাথমিক টেট দিচ্ছেন ঠিক তখনই ধর্মতলায় ২০১৪ পাসদের অনেকে আন্দোলন করছেন। তাদের অভিযোগ, দুর্নীতির কারণে তারা বঞ্চিত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের নেতা অর্ণব ঘোষ এই প্রতিবেদককে জানান,তিনি এবার টেট পরীক্ষা দেননি। তাঁর মন্তব্য,’এককথায় প্রহসন।
কারণ রেললাইনের ওপর আগে যে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে, সেটা ক্লিয়ার না করে, পিছনে আরেকটা ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া আর এই টেট পরীক্ষা সেই একই। আমাদের মনে হয়, এটা আগামী দিনের ধর্মতলা চত্বরে নতুন চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণা মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতি। এইভাবে আর চাকরি প্রার্থীরা কতদিন রাস্তার ধুলো ধোয়া খাবে, অপদার্থ পর্ষদ বলে দিক। কারণ তাদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সদিচ্ছার অভাব আছে।”
আর পিয়ালী গুছাইত নামে আরেক আন্দোলনকারী জানান,’ আমি ২০২২ টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি। এই পরীক্ষা একটা প্রহসন। মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার এক প্রচেষ্টা। যদি সত্যি এদের নিয়োগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকত, তাহলে আজ আমরা রাস্তায় বসে থাকতাম না। স্কুলেই থাকতাম। যেখানে কোর্ট এর নির্দেশ আছে নিয়োগ দেওয়ার,সেটা না করে বোর্ড টাল বাহান করছে। যারা আজ পরীক্ষাতে বসলো তাদেরও কিছু দিন পর ধর্ণাতেই বসতে হবে।’
আন্দোলনকারী অচিন্ত্য সামন্ত বলেন,’টেট পরীক্ষায় মাত্র ৫ রাখা হয়েছে। ইন্টারভিউ এ দশ রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, পুরাতন যে সমস্যা আছে ২০১৪ নট ইনক্লুডেডদের, সেই সমস্যার সরকার যেন দ্রুত সমাধান করে।