বিগত পাঁচ বছরে দেশের হাইকোর্টগুলিতে যত বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে তাদের মধ্যে তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অনুন্নত সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে নেওয়া হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। আইনমন্ত্রকের অধীন ন্যায় বিভাগ সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির কাছে এই তথ্য পেশ করেছে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বা ন্যায় বিভাগ আরও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের গত তিন দশকে বিচারপতি নিয়োগের সময় সমাজের সব স্তরের প্রতিনিধিত্ব করার কথা বিবেচনা করা হয়নি। এই সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হলেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদি। আইনমন্ত্রক এই বিষয়ে জানিয়েছে কলেজিয়ামের দায়িত্বে রয়েছে এই বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া। সরকার শুধু কলেজিয়ামের বেছে নেওয়া ব্যক্তিদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দিয়ে থাকে। কিন্তু বেছে নেওয়ার দায়িত্ব কলেজিয়ামের। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে কলেজিয়ামে নাম আসে সেজন্য সব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে তাদের নির্বাচিত তালিকায় যেন এসসি, এসটি, ওবিসি, সংখ্যালঘু ও মহিলার নাম থাকে এবং সামাজিক বৈচিত্র্যের বিষয়টি যেন বেশি গুরুত্ব পায়। পেশ করা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০১৮ থেকে ২০২২ (১৯/১২) পর্যন্ত ৫৩৭ জন বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে হাইকোর্টগুলিতে। তাদের মধ্যে এসটি ১.৩ শতাংশ, এসসি ২.৮ শতাংশ, ওবিসি ১১ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের মধ্যে থেকে নেওয়া হয়েছে মাত্র ২.৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কয়েকমাস আগে থেকেই কলেজিয়াম ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে। কলেজিয়াম মনোনীত কয়েকজন বিচারপতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্র এবং তাদের অনুমোদনে অহেতুক বিলম্ব করে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বিতর্কিত মন্তব্য করলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছে বর্তমান সরকার বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করার চিন্তা করছে সেজন্য তারা কলেজিয়াম ভেঙে দিতে চায়। যদিও ইতিপূর্বে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিজেপি সরকারের কমিশন গঠনের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।