এজিয়ান সাগরে আঙ্কারার সঙ্গে ঝামেলা না করতে গ্রিসকে আবারো সতর্ক করেছে তুরস্ক। শনিবার আন্তালিয়া প্রদেশে এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেন, গ্রিসকে নিয়ে আঙ্কারার কোনও সমস্যা নেই যতক্ষণ পর্যন্ত দেশটি এজিয়ান সাগরে তুরস্কের সঙ্গে ঝামেলা না করে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড। এরদোগান বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা এজিয়ানে আমাদের সঙ্গে ঝামেলা না করবেন, আমরাও আপনাদের সঙ্গে ঝামেলা করবো না।’ এমন সময়ে এরদোগান এমন মন্তব্য করলেন যার কয়েক মাস আগেই পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র টাইফুন উৎক্ষেপণ করে আঙ্কারা। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪৫৬ সেকেন্ডে ৫৬১ কিলোমিটার (৩৪৯ মাইল) দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এরদোগান বলেন, “আমরা টাইফুন নিক্ষেপ করেছি। টাইফুনের রেঞ্জ কতদূর? ৫৬১ কিলোমিটার। গ্রিকরা কী করেছে? তাদের পত্রিকাগুলো শিরোনাম করেছে: ‘তারা (তুরস্ক) এথেন্সে আঘাত হানবে।’ কিন্তু যতক্ষণ না আপনারা এজিয়ানে আমাদের সাথে জগাখিচুড়ি না পাকান ততক্ষণ আমাদের তেমন কোনও সমস্যা নেই।” ভাষণে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্রমবর্ধমান বিকাশের প্রশংসা করেন এরদোগান। তিনি বলেন, প্রতিটি দেশ আঙ্কারার যুদ্ধ ড্রোন বায়রাখতার টিবি২-কে ঈর্ষা করে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রিসের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে দফায় দফায় উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, গ্রিস তুরস্কের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থিত এমন দ্বীপগুলোকে সামরিকায়ন করেছে যেগুলো চুক্তির বাধ্যবাধকতার অধীনে নিরস্ত্রীকরণ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কিছু স্থান নিয়ে উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি দাবি রয়েছে। ২০২০ সালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুই দেশের উত্তেজনা এক পর্যায়ে সামরিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে, ‘ইয়েনি জামে’ নামে ইস্তাম্বুলের ৩৫০ বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ সংস্কারের পর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। স্থানীয় সময় জুমার নামাজের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়। পরে এরদোগান এখানে জুমার নামাজ আদায় করেন। ‘ইয়েনি জামে’ মসজিদটি ইস্তাম্বুলের ইউরোপীয় অংশের উপকূলীয় এলাকা এমিনোনুতে অবস্থিত। ‘ইয়েনি জামে’ মসজিদটি ‘নতুন মসজিদ’ নামে বেশি পরিচিত। উদ্বোধনীতে এরদোগান জানান, ওসমানিয়া সুলতান তৃতীয় মুরাদের মা সুলতানা সোফিয়ার আদেশে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং সুলতানা খাদিজা তুরহানের নির্দেশে ১৬৬৫ সালে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। সুলতানা খাদিজা তুরহান সুলতান চতুর্থ মোহাম্মদের মা। মসজিদটি নির্মাণের পর প্রায় ৩৫৮ বছর ধরে এখানে লাখ লাখ মুসল্লি-পর্যটক নামাজ আদায় করেছেন ও পরিদর্শনে এসেছেন। ২০১৬ সালে তা সংস্কার ও পরিবর্ধনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। অবশেষ কাজ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার মুসল্লিদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। উদ্বোধনীতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও সরকারের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আনাদোলু এজেন্সি,ইন্টারনেট