২০০২-র গুজরাত দাঙ্গায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্রে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তার বিরোধিতায় সরব হলেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এই বিষয়ে আমাদের সরকারের অবস্থান দীর্ঘ দিন ধরেই যা ছিল, তাই রয়েছে। আমরা পৃথিবীর কোনও প্রান্তেই নির্বিচারে হত্যার ঘটনা সমর্থন করি না। তবে যে ভাবে এখানে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তার সব কিছুর সঙ্গে সহমত নই।’
এদিকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ডকুমেন্টারিটির পিছনে এজেন্ডা কী তা আমরা জানি না, তবে এটি সঠিক নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
বাগচী বলেন, এই তথ্যচিত্রটি ভারতের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ ধরনের অপপ্রচারের আখ্যান চালানোর চেষ্টা। তথ্যচিত্রে দেখা যাচ্ছে, এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিশেষ ধরনের চিন্তাভাবনা রয়েছে, কারণ এতে কোনো সত্যতা নেই। এটি ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন ঘটায়। আমরা জানি না এর পেছনে এজেন্ডা কী?
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,একুশ বছর আগে ঘটা গুজরাতের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে ফের কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হল দিল্লিতে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি-টু গুজরাত হিংসা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করেছে, যার নাম ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ যে ভাবে এসেছে, তাতে একেবারেই খুশি নয় ভারত সরকার। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও মনে করছেন, মোদীর চরিত্রায়ণ সেখানে ঠিক হয়নি।
২০০২-এর গুজরাত হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সেই রাজ্যে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানোর ব্যবস্থা না থাকলেও বিশ্বের অন্যত্র এবং সামাজিক মাধ্যমে তা (অংশবিশেষ) দেখা যাচ্ছে। যদিও ওই অশান্তিতে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও ভূমিকা ছিল না বলে গত বছর এই সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রায়ে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।