আমরাই মমতাকে নবান্নে বসিয়েছি’,মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতে থাকা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে এসে এমন মন্তব্য করেছেন নাজমুস শাহাদাত সিদ্দিকী। ওই পীরজাদার হুঙ্কার, আমরা মমতাকে নবান্নে বসিয়েছি। আর ফুরফুরার পীরজাদার উপর অন্যায় হচ্ছে। রাজনীতি সবাই করতে পারে, কিন্তু অন্যায় মেনে নেব না।
নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী সহ অন্যান্য পীরজাদারা। তাদের অভিযোগ, একা কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি নওশাদের সঙ্গে। এক পীরজাদা বলেন, ‘এই সরকার পীরজাদাদের গায়ে হাত দিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এভাবে অত্যাচার করা হয় না।’
এদিন নওশাদের সঙ্গে দেখা করেন কাশেম সিদ্দিকী, সাউদ সিদ্দিকী ও নাজনুস সৈয়দ সিদ্দিকী। তাঁরা জানান, ‘ভাইয়ের কিছু বলার ছিল। বলতে পারেনি। অফিসাররা ঘিরে রেখেছিলেন। ভাই বলেছে, বাইরে গিয়ে বলব। যা বলার আদালতে বলব।’
স্পিকারের অনুমতি ছাড়া একজন বিধায়ককে কীভাবে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
তবে নওশাদ ইস্যুতে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে ফুরফুরে শরীফে। পীরজাদারা বলছেন, ‘জবাব দেব ভোটবাক্সে’।
এদিকে নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি এসোসিয়েশনের সম্পাদক পীরজাদা রুহুল আমীন, আরাফের সম্পাদক পীরজাদা খোবায়েব আমীন প্রমুখ। আবার পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকীও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।