টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতেই আবার একের পর এক বোমা ফেলে চলেছেন কঙ্গনা রানাউত। না দেখে শুরুতে এক বার ‘পাঠান’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাঁর দাবি ছিল, ছবিটি নিয়ে অহেতুক মাতামাতি হচ্ছে। বক্স অফিসে কত আয় হল তা দিয়ে ছবির গুণাগুণ বিচার হচ্ছে। যদিও ছবিটি দেখার পর অন্য সুর গাইলেন কঙ্গনা। তাঁর মতে, গত দশ বছরে এটিই শাহরুখের সেরা ছবি।
যাঁরা বলছেন, “পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালবাসার জয়”— শুরুতে তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। তার পর যখন দেখা গেল, এত বিতর্কের মধ্যেও বয়কটের আহ্বান পিছনে ফেলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ঢল নামিয়েছে ছবিটি, সেই ইতিবাচক দিকে আলোকপাত করে কঙ্গনা বললেন, ‘‘দেশবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করে ভালবাসা পেয়েছে পাঠান।’’
কঙ্গনার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এক ব্যক্তি মনে করিয়ে দিতে চান, “কঙ্গনা অভিনীত শেষ ছবি ‘ধকড়’ প্রথম দিনে মাত্র ৫৫ লাখ টাকা আয় করেছে এবং ছবির মূল সংগ্রহ ২.৫৮ কোটি। যদিও পাঠান প্রথম দিনেই আয় করেছে ১০০ কোটির বেশি। এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছুই নয়।” এই মন্তব্যের জবাবে কঙ্গনা বলেন, “হ্যাঁ, ধকড় ঐতিহাসিক ব্যর্থতার নজির, আমি কখন সেটা অস্বীকার করেছি? বরং ‘পাঠান’ গত দশ বছরে শাহরুখের প্রথম সফল ছবি, আমরাও তাঁর থেকে অনুপ্রেরণা পেলাম। আমি আশা করি আমরাও একই রকম সুযোগ পাব যা দেশ তাঁকে দিয়েছে। এত কিছুর পরেও ভারত মহান, উদার, জয় শ্রী রাম।”
কঙ্গনা প্রশ্ন এর পর তোলেন, কার ঘৃণা আর কার ভালবাসা? যাঁরা দাবি করছেন ‘পাঠান’ ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তাঁদের উদ্দেশেই প্রশ্নটি রাখেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘‘খেয়াল করুন ভারতীয়রা টিকিট কেটে দেখছেন। ভারতবাসীর ভালবাসা। যাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই হিন্দু। তাঁরাই ‘পাঠান’ দেখছেন। এর অর্থ, দেশ এখনও ধর্মসহিষ্ণুই আছে। জয় যার হয়েছে সে হল ভারতবাসীর ভালবাসার।’’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় মুসলিমরা দেশপ্রেমী। আফগানিস্তানের পাঠানদের মতো নন। তাই ভারত কখনও আফগানিস্তান হবে না। পাঠান-এর যে চরিত্র এই সিনেমায় রয়েছে, সে-ও ভারতীয় মুসলিম। চিত্রনাট্য তা-ই বলছে।’’
সব শেষে কঙ্গনা আরও এক বার স্বীকার করে নেন যে, ‘পাঠান’ অত্যন্ত ভাল ভাবে চলছে। হিন্দি ছবির মন্দার দিনে এমন কাজ আরও হওয়া দরকার।
(সৌজন্যে: আনন্দবাজার অনলাইন)