সোমবার কলকাতার ভারতসভা হলে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ডাকা এক প্রতিবাদী কনভেনশনে বিভিন্ন বক্তা এই আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। আইএসএফ চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী, দলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি সহ ২২ জনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ও গত ২১ তারিখে ভাঙড়ে হামলাকারী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে এই কনভেনশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গণসংগঠন যোগ দেয়। প্রত্যেকেই একমত হয়েছেন যেভাবে একজন বিধায়কের ওপর নজিরবিহীন হামলা হয়েছে, তাঁর গাড়ি ভাঙা হয়েছে, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। উল্টে এর প্রতিবাদ করলে বিধায়ককে টেনেহিঁচড়ে মারতে, মারতে পুলিশ লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা স্বৈরতন্ত্রের সুস্পষ্ট পদধ্বনি। রাজ্যের শাসকদল যেভাবে দুর্নীতির পাঁকে তলিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা বিরোধীদলগুলির ওপর অত্যাচার নামিয়ে আনছে। ২১ তারিখের ঘটনা তারই অংশ। গণতান্ত্রিকভাবে বিশাল আন্দোলন তৈরি করে এই অত্যাচারকে প্রতিহত করতে হবে। আজকের এই কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম এর শমীক লাহিড়ী, প্রদেশ কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, সিপিআইএমএল লিবারেশনের বাসুদেব বসু, এসডিপিআই এর তায়েদুল ইসলাম, সিপিআই এর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিআইএমএল নিউ ডেমোক্রেসির আশীষ দাশগুপ্ত, এমকেপির বিনান্দ ঝা, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের মহম্মদ জাফরুল্লা, ওয়েলফেয়ার পার্টির তাহের আনসারি, র্যাডিকাল সোশ্যালিস্টের প্রতীপ নাগ, জয় ভীম ইন্ডিয়া নেটওয়ার্কের শরদিন্দু বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য মোর্চার গৌরব মুখার্জি, চেতনা মঞ্চের সুদর্শন বসু, এনডিপিআই-এর সঞ্চয় সরকার, ছাত্ৰ সংগঠন এআইএসএফ-এর আইনজীবী রাজনীল মুখার্জি, মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের মাসিদুর রহমান, আরএসএফ-এর তথাগত রায়চৌধুরী, সিএসএ-র অনন্যা দেব, এআইপিডব্লিউএ-র ইন্দ্রাণী দত্ত, পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদের নীতিশ রায়, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, ইয়ং বেঙ্গলের পক্ষে অধ্যাপক অনিন্দ্য সরকার, জয়েন্ট ফোরাম এগেইনস্ট এনারসি-র জাভেদ আলম, অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স আ্যসোসিয়েসানের শামীম আহমেদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন আইএসএফের রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক।