নিয়োগের দাবিতে ফের বুধবার আন্দোলন করেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ চাকরি প্রার্থীরা। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কালিঘাট অভিযান করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ ছিলো ৩১৮৩, আপটু ডেট হওয়ার কথা ২০১৬ পর্যন্ত। সেই হিসাবে শূন্যপদ হওয়ার কথা প্রায় ৫০০০। কিন্তু ২০১৮ সালে প্যানেল লিস্ট প্রকাশ না করে কাদের নিয়োগ করেছে, কত নিয়োগ করেছে কিছুই জায়নি কমিশন । পরে জানা যায় প্রায় ১৯০০ জন কে রেকোমেন্ডেড করেছে মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ হয়েছে মাত্র ১৫০০ শূন্যপদে। মনিরুল ইসলামের অভিযোগ, কমিশনের কোন নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি। খাতা কে বিকৃতি করা হয়েছে। কি নিয়মে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নের ও উত্তর নেই কমিশনের আধিকারিকদের কাছে। যে RTI গুলো দেওয়া হয়েছে একাডেমি ইভালুয়েশন ২০১০ গেজেট রুলসের সাথে মিল খাচ্ছে না।প্রত্যেকেরর মার্কাস বেশি হয়ে যাচ্ছে।”
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন,
ভোটের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং বলেছিলেন নিয়োগ দিতে। এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। ১৪ অক্টোবর মাননীয় মন্ত্রী গোলাম রাব্বানী আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ২০১৩সালের বিজ্ঞপ্তির ৩১৮৩ শূন্যপদের মধ্যে ২০১৮ সালে প্যানেল লিস্ট ছাড়াই নিয়োগ করেছে মাত্র ১৫০০। হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে নিয়োগের। কিন্তু বারংবার প্রতিশ্রুতি সত্বেও নিয়োগ অধরা। এই দূর্নীতি পরায়ণ সরকার মাদ্রাসা গুলোকে শিক্ষক না দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। রাজ্যের সমস্ত স্তরের জনগণের কাছে আবেদন শিক্ষা ব্যাবস্থা কে বাঁচতে অপদার্থ সরকারের বিরুদ্ধে সকলে রাস্তায় নামুন।”