কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরি
প্রতিটি ইবাদতে আছে শিক্ষণীয় অনেক বিষয়, রোজাও এর ব্যতিক্রম নয়। জীবনকে সাজাতে প্রতিটি ইবাদতের শিক্ষা ও তাৎপর্য আমাদের জীবনের সঙ্গে জরুরি। নিম্নে রোজার কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো :
১. বৈধ উপার্জনে আহার : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়। প্রকৃত রোজা হলো অনর্থক ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা।’ (হাকেম হাদিস, হাদিস : ১৫৭০)
২. আল্লাহভীতি অর্জন : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
৩. অন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখানো : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এটি (রমজান) সহানুভূতির মাস। যে ব্যক্তি এ মাসে আপন গোলামের কাজের বোঝা হালকা করে দেবে, আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেন।’ (সহিহ ইবনে খুজায়মা, বায়হাকি)
৪. নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত : রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক আমলের সওয়াব ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। একমাত্র ব্যতিক্রম হলো রোজা। রোজা আমার জন্য; আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। কেননা, রোজাদার আমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কামনা-বাসনা ও পানাহার থেকে বিরত থাকে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৪)
৫. সব সময় ধৈর্য ধারণ : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এটি (রমজান) সবরের মাস। আর সবরের প্রতিদান জান্নাত।’ (সহিহ ইবনে খুজায়মা, বায়হাকি)
৬. সুন্দর আচরণ : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি তোমাকে গালি দেয় কিংবা তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে আসে, তুমি বলো আমি রোজাদার।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৪)(সূত্র:কালের কণ্ঠ)