সংবিধান পরিযদে ঠিক হয়েছিলো ভারতবর্ষ হবে বহুত্ববাদী দেশ। বলা হলো, ‘ আমরা ভারতের জনগন’, এই কথার ব্যাপক তাৎপর্য। সংবিধান পরিষদে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতো হিন্দুত্ববাদীরা ছিলেন। তা হলেও সংবিধানে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো বহুত্ববাদের ধারণা। বহুত্ববাদ ভারতের মূল ছন্দ।
শ্রীরামপুর টাউন হলে দীনেন ভট্টাচার্য পাঠচক্রে ‘ভারতের সংবিধান ও মতপ্রকাশের অধিকার’ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যসভার সিপিআই(এম) সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের বৈপ্লবিক আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক গণেশ ঘোষের সান্নিধ্যে এসেছি। তাঁর কাছে শোনা, অবর্ণনীয় ব্রিটিশের অত্যাচারের কথা জেনেছি। গায়ে কাঁটা দিতো। কিন্তু তারা কোনদিন আত্মসমর্পন করেননি। সাভারকার করেছিলেন। শুরু বৈপ্লবিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হলেও তার পরিণতি হল দাসত্ব।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, খেতে পাওয়ার অধিকার আমাদের দেশের মানুষের কোনদিন ছিল না। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে কোন সরকারই এটাকে গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন মনে করেনি। কিন্তু মতপ্রকাশের অধিকার ছিলো। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে কথা বলার অধিকার দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন সেই অধিকার আজ মুছে যাচ্ছে। সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষ বলেন, ভারতের সংবিধানের মূল সুর বহুত্ববাদ।
সেই সুরকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএসের সাম্প্রদায়িক শক্তি। বহুত্ববাদ আমাদের রক্ষা করতে হবে। ভারতের মানুষের বেঁচে থাকার তাগিদ ও লড়াইকে যে দাঙ্গাবাজরা ঘুরিয়ে দেয়। সেই সুযোগে গনতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে তাদের পরাস্ত করতে গেলেও আমাদের সবাইকে একসাথে থাকতে হবে। উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তীর্থঙ্কর রায়, আব্দুল হাই, মিঠুন চক্রবর্তী, নবনীতা চক্রবর্তী প্রমুখরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেদব্যাস মুখার্জি। (সৌজন্যে: গণশক্তি অনলাইন)