তুরস্কে আজ অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বিকেল ৫টায় শেষ হবে ভোট গ্রহণ। ২০ বছর ধরে তুরস্কে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান এবারই প্রথম সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী থাকলেও এরদোগানের সাথে মোকাবেলা হবে মূলত সম্মিলিত বিরোধী দলের কেমেল কিলিচদারুগ্লুর। অপর দুই প্রার্থী হচ্ছেন মুহারেম ইনসে ও সিনান ওগান।
তুরস্কের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন হতে হয়। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে জয়ী প্রার্থীই বিজয়ী ঘোষিত হন।
এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তা বলা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখনো পাল্লা এরদোগানের দিকে ঝুঁকে আছে। কারণ অর্থনীতি ও সংসদীয় ব্যবস্থার ইস্যুর চেয়ে তুরস্কের বড় সংখ্যক মানুষ অখন্ডতা উন্নয়ন ও স্থিতির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হয়।
তুরস্কের নির্বাচন কামিশন নির্বাচনী জরিপ প্রকাশ আনুষ্ঠানিক গণমাধ্যমে নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নিষিদ্ধ করলেও সামাজিক গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হচ্ছে।
আরেদার জরিপে বলা হয়েছে, রজব তাইয়্যেপ এরদোগান ৫১.৩ শতাংশ, কেমাল কিলিচদারোগলু ৪৪.২ শতাংশ, সিনান ওগান ৩.৯ মতাংশ আর মুহাররেম ইনসে ০.৬ শতাংশ ভোট পাবেন।
অন্য দিকে ৬০০ভেকিল এর জরিপে বলা হয়েছে এরদোগান পাবেন ৪৭ শতাংশ, কিলিচদারুগ্লু ৪৯.৫ শতাংশ, ওগান ৩.৫ শতাংশ আর ইন্স ০ শতাংশ।
১২ মে প্রকাশ হওয়া জিইএইচএসসির জরিপে বলা হয়েছে এরদোগান ৪৭.৯৭, কিলিদারুগ্লু ৪৬.৯০, ওগান ২.৭৯, ইন্স ২.৩৪ শতাংশ ভোট পাবেন।
এর বাইরে বিরোধী পক্ষকে সমর্থনকারী ইউরোনিউজের জরিপে বলা হয়েছে এরদোগান ৪৫.৮ এবং কিলিসতারুগ্লু ৪৮.৯ শতাংশ ভোট পারেন। ইন্টারনেট