হাসপাতালের কারাগারে অনশনরত গাদ্দাফির ছেলে

 

লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে হানিবাল গাদ্দাফি গত তিন সপ্তাহ ধরে অনশন করেছেন। এতে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যায়ভাবে আটকের প্রতিবাদে তিনি এ অনশন করেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার সাথে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা। গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তার সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ জুন থেকে অনশন শুরু করেন হানিবাল গাদ্দাফি। এ সময় তিনি কেবল সামান্য পানি খেয়েই টিকে ছিলেন। অবশেষে বুধবার রক্তচাপ কমে যাওয়া ও মেরুদ-ে প্রদাহের কারণে বৈরুতের হোটেল-ডিউ ডি ফ্রান্স হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাকে সিরাম, অ্যান্টিবায়োটিক ও খাদ্য সম্পূরক দেয়া হয়। পরে স্বাস্থ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে হলে ফের কারাগারে নেয়া হয়। কর্মকর্তা আরো জানান, একটি ছোট ঘরে বন্দী থাকার কারণে হানিবাল গাদ্দাফি পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন। সেখানে তিনি অবাধে চলাফেরা করতে পারেন না। পারেন না শরীরচর্চাও করতে। হানিবাল গাদ্দাফিকে ২০১৫ সালে লেবানন থেকে আটক করা হয়। সেখানে তিনি রাজনৈতিক শরণার্থী হিসেবে ছিলেন। মূলত ৪৫ বছর আগে লিবিয়া থেকে নিখোঁজ লেবানিজ শিয়া ধর্মগুরু মুসা আল-সদরের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য নেয়ার জন্য তাকে আটক করা হয়। পরে লেবানন পুলিশ ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা হ্যানিবলকে উত্তর-পূর্বের শহর বালবেক থেকে আটক করেছে। এরপর থেকে তাকে বিনা বিচারে বৈরুতের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ধর্মগুরুর পরিবার বিশ্বাস করে, আল-সদর এখনো লিবিয়ার কোনো কারাগারে জীবিত থাকতে পারেন। অবশ্য বেশির ভাগ লেবাননের ধারণা, আল-সদর মারা গেছেন। বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স হবে ৯৪ বছর। আল-সদর ছিলেন আমাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। এটা লেবানিজ প্রতিরোধ ব্রিগেডের সংক্ষিপ্ত রূপ। দলটি পরে লেবাননের ১৯৭৫-১৯৯০ গৃহযুদ্ধে লড়াই করেছিল। লেবাননের শক্তিশালী পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি এই দলের প্রধান। আল-সদরের বেশিরভাগ কর্মী বিশ্বাস করে যে মুয়াম্মার গাদ্দাফি লেবানিজ মিলিশিয়াদের লিবিয়ার অর্থ প্রদানের বিরোধে আল-সদরকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও