পুলিশের গুলিতে এক কিশোরের নিহতের ঘটনায় চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে ফ্রান্সের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করেছে। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত প্যারিসের ইলে-ডে শহরে কারফিউ জারি থাকবে।
গত মঙ্গলবার ট্রাফিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয় উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ১৭ বছরের কিশোর নেহাল এম। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্যারিস ও অন্য আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়।
গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন দেওয়া হয়, কিছু রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়, আক্রান্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। পর পর তিন রাত ধরে চলা সহিংসতায় ১৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪২১ ব্যক্তিকে। গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে প্যারিসে রয়েছে ৫ হাজার।
বিক্ষোভ দমাতে স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে বাস এবং ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৬ জুন ওই কিশোর এক ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে পশ্চিম প্যারিসের শহরাঞ্চলে নঁতের এলাকা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই বহু রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে তাকে আটকাতে চায় পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা গাড়িটিকে থামাতে চেষ্টা করছেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির চালকের দিকে অস্ত্র বন্দুক তাক করে আছেন। এরপরই ওই কর্মকর্তা গুলি করেন কিশোরকে। জরুরি বিভাগের লোকজন তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও গুলিবিদ্ধ কিশোর তৎক্ষণাৎ মারা যায়।
রয়টার্স এর তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে ট্রাফিক স্টপে পুলিশের গুলিতে যত জন নিহত হয়েছে তার বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ।
এ বছর ফ্রান্সে ট্রাফিক স্টপে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর এটা দ্বিতীয় ঘটনা। গত বছর ফ্রান্সে এভাবে রেকর্ডসংখ্যক মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ইনকিলাব