মহারাষ্ট্রের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হল এজাজ নাদাফের সাহসিকতার গল্প

 

মহারাষ্ট্রের অর্ধাপুরে, বাল ভারতীর ষষ্ঠ-শ্রেণির উর্দু পাঠ্যপুস্তকে এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এজাজ নাদাফের গল্প। এজাজ নাদাফ একজন অসাধারণ যুবক যিনি মর্যাদাপূর্ণ “জাতীয় বীরত্ব পুরস্কার”-এ ভূষিত হয়েছেন। ১৬ বছর বয়সে এজাজ নাদাফের সাহসিকতা এবার পাঠ্যপুস্তকে প্রশংসিত হবে।
২০১৭ সালের, ৩০ এপ্রিল, এজাজ দুটি মেয়েকে নদীতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন, যার ফলে তাঁকে ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারা “জাতীয় শিশু সাহসিকতা” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রে এজাজ নাদাফই একমাত্র ছাত্র ছিলেন, যিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। নিজের গ্রামেই প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা সমাপ্ত করে এজাজ। ওই গ্রামেরই রাজাবাই উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় অসীম সাহসিকতার নিদর্শন দেয় এজাজ।
তার পড়াশোনা এবং ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য, এজাজকে কর্ণাটকের বিদারে শাহিন ইনস্টিটিউট দত্তক নেয়। যদিও এজাজ ৭০% স্কোর করার পরেও, তাঁর পরিবারের খারাপ আর্থিক পরিস্থিতির কারণে তাঁকে দশম শ্রেণীর পর তাঁর গ্রামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়। তবে, এর পরেও প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করে এজাজ দ্বাদশ শ্রেণী পাস করতে সক্ষম হন। এই পরিস্থিতিতে, তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার খুব কম আশা ছিল। কর্ণাটকের বিদারের শাহিন ইনস্টিটিউট যখন তাঁকে তাঁর ভবিষ্যত অধ্যয়ন এবং সাফল্যকে সমর্থন করার জন্য দত্তক নেয় তখন তাঁর মনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আশা জাগে। বর্তমানে, তিনি শাহীন ইনস্টিটিউশনে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং বিএ-এর পড়াশোনা করছেন।

এজাজের বাবা আব্দুল রউফ নাদাফ তাঁর সন্তানকে সাহসিকতার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে জেনে আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই গল্পটি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চমৎকার উদাহরণ হিসাবে কাজ করবে এবং নিঃসন্দেহে তাদের উৎসাহিত করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও