বিরোধী ঐক্যের প্রয়াস বদলাতে পারে দেশের রাজনীতি, আশাবাদী কংগ্রেস

 

‘‘পাটনার বৈঠকের পর বিজেপি বলেছিল যে তারা একাই গোটা বিরোধী জোটকে হারিয়ে দিতে পারে। এখন নিজেদের জোটের জন্য বৈঠক ডাকতে হচ্ছে তাদের।’’

এনডিএ জোটের বৈঠক ডাকতে বিজেপি’র তৎপরতায় এই মন্তব্য করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সংগঠন বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। কংগ্রেসের আরেক সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের সঙ্গে সোমবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তিনি।

বেণুগোপাল বলেছেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দেশের রাজনীতিকে বদলে দেবে।’’

বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দিয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি দল। পাটনায় ২৩ জুন হয় আগের বৈঠক। এর মধ্যে নিজেদের জোটের বৈঠক ডেকেছেন বিজেপি’র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ’র বৈঠক।

নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদে জোট প্রায় তুলে দিয়েছিল বিজেপি। নাড্ডা দাবি করেছেন যে মঙ্গলবার এনডিএ’র বৈঠকে যোগ দেবে ৩৮টি দল।
মোদীকে সর্বেসর্বা করে একতরফা চলার ধরনে প্রতিক্রিয়াও হয়েছে এক সময়ের জোট সঙ্গীদের। প্রতিক্রিয়া হয়েছে দল ভাঙানোর রাজনীতিতেও। এদিন রমেশ বলেছেন, ‘‘মৃতপ্রায় সেই এনডিএ জোটে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘এনডিএ নিয়ে মাথাব্যথাই ছিল না, এখন সেই জোটকে জাগাতে মরিয়া বিজেপি। বিরোধীদের একজোটে নামার প্রয়াসেই বিজেপি’র এমন তৎপরতা।’’

সোমবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের বৈঠক মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর্ব পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ কর্মসূচিতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিরোধীরা।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে বলেছেন, ‘‘বিজেপি’কে পরাজিত করা দরকার লোকসভায়। দেশকে বাঁচানোর জন্যই তা করা দরকার। বিরোধী দলগুলি এই লক্ষ্যে সহমত।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি কেঁপে উঠেছে। তাই এখন এনডিএ বৈঠকের তোড়জোড়।’’

বিরোধীদের প্রয়াস ঘিরে আক্রমণে নেমেছেন বিজেপি’র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার এনডিএ’র বৈঠকে যোগ দেবে ৩৮টি দল। রবিবার থেকেই বিরোধী বৈঠক ঘিরে মন্তব্য করে যাচ্ছেন তিনি। নাড্ডা বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের জোট দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক নয়। বরং, পরিবারতন্ত্রের সুরক্ষার ব্যবস্থা।’’

রমেশ বলেছেন, ‘‘দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য বিরোধীরা একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীরা।’’ বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালও। তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষের সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দেবে বলে ২৬টি দল এক জায়গায় এসেছে। কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশ্নে সহমত হয়েছে।’’

সংসদের অধিবেশন ২০ জুলাই শুরু হচ্ছে। অধিবেশন ঘিরে বিরোধীদের সমন্বয় বিভিন্ন সময়েই দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দুয়েকটি দল সরে থাকলেও বাকি দলগুলি যৌথভাবেই সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে একজোটেই। গণশক্তি

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও