মগরাহাটে খুন তৃণমুল নেতা

 

দক্ষিণ ২৪ পরগণার মগরাহাটে শুট আউট। মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের অর্জুনপুর এলাকায় তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী মৈমুর ঘরামিকে গুলি করে কুপিয়ে খুন। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমুল কর্মী শাজাহান মোল্লা। নতুন বোর্ডে পঞ্চায়েত উপ প্রধানের দাবীদার ছিলেন তিনি। আহত শাজাহানের বয়ানে গ্রেফতার অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা। শাজাহানের অভিযোগ অভিযুক্ত গোষ্ঠী ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে উপ প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, রাজি না হওয়াতেই খুন। তদন্তে নেমেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ।
নিহত তৃণমুল নেতার বিরুদ্ধে বাড়ি জমির দালালি সহ বিগত পঞ্চায়েতের টাকা তছরুপ করার অভিযোগে রয়েছে ।
পুলিশ মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ এনে, তৃণমূলের অর্ন্তকলহ চাপা দিতে, মৈমুরের বিরুদ্ধে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যে সিপিআই(এম) প্রার্থী, তাঁকে সহ ৩জন বাম কর্মীকে আটক করেছে দলদাস পুলিশ।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী বলেন, “যিনি খুন হয়েছেন তিনি পঞ্চায়েত ভোটের দিন ব্যাপক ভোট লুঠ করেছেন। কাউকে ভোট দিতে দেননি। জমির দালালি করে প্রচুর টাকা কমিয়েছেন। গতবার নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পঞ্চায়েতের টাকা লুঠ করার জন্য মগরাহাট থানা স্থানীয় গুন্ডা সেলিমকে টাকা দিয়ে হাতে রেখেছিলেন। পাঁচ বছরে টাকা লুঠ করেছেন।”
লাহিড়ীর কথায় দলদাসের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানের পদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এবার উপ প্রধান পদে মৈমুর সহ আরও দুজন দাবিদার আছেন। একজন আবার প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। কার হাতে এই টাকা লুঠ করার ক্ষমতা থাকবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জন্য এই খুন, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। পুলিশ নির্লজ্জ দলদাসের ভূমিকা পালন করছে। সিপিআই(এম) প্রার্থী সহ যেই ৩জন বাম কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ভোটের সময় থেকে থানায় ডেকে বার বার হুমকি দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রচার না করেন।” গণশক্তি

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও