গুরুগ্রামে হিংস্র বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন একটি মসজিদের ইমাম। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে মসজিদ। মঙ্গলবার হরিয়ানায় হিংসার জেরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘নির্বাচনের দিকে নজর রেখে শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীক্ষ্ণ করার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।’’ এমন সংগঠিত অপরাধের তীব্র নিন্দা করেছে পলিট ব্যুরো।
সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্রজ মণ্ডল যাত্রার নামে উসকানির জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। বজরঙ দলও সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত উস্কানিমূলক প্রচার চালায়। গোরক্ষার নামে মানুষ হত্যার একের পর এক ঘটনায় যুক্ত বজরঙ দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীর নামে এই মিছিলে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেছেন, ‘‘নুহয়ের হিংসা বড় ষড়যন্ত্রের অংশ। এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন আবার সন্ত্রাসবাদী মতলবের অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। জৈন জানান যে সব রাজ্যে হরিয়ানা নিয়ে প্রচার করবে ভিএইচপি।
উত্তেজনার মধ্যে এদিন নুহতে প্রশাসনের ডাকে সাড়া দিয়ে শান্তি বৈঠকে শামিল হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের বিভিন্ন মঞ্চ। জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার বৈঠকে অংশ নেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি এবং আরএসএস এই সাম্প্রদায়িক হিংস ছড়াবে বলে মনে করছে বিভিন্ন অংশই।
গণশক্তি