এ কাজ সে কাজ করতে করতে দিন চলে যায়, কিন্তু প্রয়োজন মতো পর্যাপ্ত জল পান করা হয় না। কিন্তু আপনি কি জানেন, শরীরে দৈনন্দিন জলের যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারো শারীরিক গোলমাল শুরু হয়ে যায়।
এবার জানুন, কী কী উপসর্গ দেখলে বেশি করে জল খাওয়া শুরু করতে হবে –
১) শরীরে জলের অভাব হলে বর্ষার সময়েও ত্বক শুষ্ক দেখায়, শুধু তা-ই নয়, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে।
২) প্রস্রাবের রং লক্ষ করুন। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়। এই সব উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন।
৩) মুখে হঠাৎ দুর্গন্ধ হচ্ছে? শরীরে জলের ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। জল মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপাদনে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৪) ডিহাইড্রেশন হলেই ঘন ঘন জল পিপাসা লাগে। বার বার জল খেলেও তৃপ্তি আসে না। সে ক্ষেত্রে সাধারণ জলের পরিবর্তে লেবু-জল বা ইলেক্ট্রলযুক্ত জল পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৫) শরীরে জলের অভাব হলে অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অকারণে মাথাব্যথাও হতে পারে। সারাক্ষণ আলস্য ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
৬) জলের অভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়, তাই সমস্ত অঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদ্যন্ত্রকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে হৃদ্যন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। হঠাৎ করে হৃদ্স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।
তাই পর্যাপ্ত পরিশ্রুত জল পান করুন আর সুস্থ্য থাকুন।