কেন আপত্তি নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে। তা না হলে বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দেবে না সুপ্রিম কোর্ট। বিহার সরকারের জাত ভিত্তিক সমীক্ষার বিরুদ্ধে দায়ের আবেদনে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
বিহারে জনতা দল (ইউ) এবং আরজেডি জোট সরকার জাতভিত্তিক সমীক্ষার ঘোষণা করার পর থেকে কিছু অংশ আপত্তি তোলে। এর আগে পাটনা হাইকোর্টে আবেদন দায়ের হয়। কিন্তু হাইকোর্ট সমীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি। আবেদনকারীরা এর পর আপত্তি দায়ের করে শীর্ষ আদালতে। আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে মেহতা বলেন, এই সমীক্ষার বৃহত্তর প্রভাব পড়তে পারে। বিচারপতিরা বলেন যে নির্দিষ্ট আপত্তি জানাতে হবে। তা না হলে সমীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া যাবে না। মেহতা এদিন ‘বৃহত্তর প্রভাব’ ব্যাখ্যা করেননি শীর্ষ আদালতে।
গত ১ আগস্ট সমীক্ষা চালানোর পক্ষে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিভিন্ন সংগঠন রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করেছে। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘এই সমীক্ষার দু’টি দিক রয়েছে। এক, তথ্য সংগ্রহ করা। সেই কাজ হয়ে গিয়েছে। দুই, তথ্যের বিশ্লেষণ করা। দ্বিতীয় অংশটিই বেশি সমস্যার।’’ আপত্তি জানিয়ে আবেদন করেছে এমন বিভিন্ন অংশকে বেঞ্চ বলেছে, ‘‘যতক্ষণ আপত্তির নির্দিষ্ট কারণ না জানাচ্ছেন, এই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না।’’
জাতভিত্তিক সমীক্ষায় আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। এর আগে আর্থ সামাজিক ও জাতভিত্তিক সমীক্ষা হয়েছে কেন্দ্রের উদ্যোগে, ২০১১ সালে ইউপিএ-২ সরকারের সময়। একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উপভোক্তা বাছা হয় সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই। কিন্তু, দীর্ঘ প্রায় এক দশকে পরিস্থিতি পালটেছে। নতুন সমীক্ষার দাবিও জোরালো হয়েছে। কেবল জাতভত্তিক সমীক্ষা নয়, জনগণনা এই প্রথম নির্দিষ্ট সময়ে করেনি কেন্দ্র। করোনার কারণ দেখিয়ে আটকে দেওয়া হয় সমীক্ষা।
জাতভিত্তিক আর্থ সামাজিক সমীক্ষার দাবিতে সরব বিরোধীরা। বিরোধী দলগুলির মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র প্রস্তাবনায় সামাজিক ন্যায় এবং জাতভিত্তিক সমীক্ষার জোরালো দাবি তোলা হয়েছে। এই ধরনের সমীক্ষায় সামাজিক ভাবে বঞ্চিত অংশের অবস্থা কেবল ধরা পড়ে না, গোটা সমাজেই বঞ্চনার ছবি উঠে আসে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আবেদনকারীদের একাংশ আবার তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ জানিয়েছে শীর্ষ আদালতে। গণশক্তি