শহিদ নুরুল ইসলাম কলেজে সিসি ক্যামেরা কেন? প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে তাণ্ডব!

যাদবপুরে যখন সিসি ক্যামেরার দাবীতে শাসক তৃণমুল কংগ্রেস সরব ঠিক তখনই মিটিং হল কাম স্টাফ কমন রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল কিছু বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার শহিদ নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা।

জানা গেছে, সোমবার বেলা ১ টা নাগাদ পরিচালন কমিটির বৈঠক চলছিল। কমিটির মাথায় রয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক বীণা মণ্ডল। অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠক চলাকালীন ৫০-৬০ জন দরজা “ধাক্কা দিয়ে খুলে ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান বীণা। উন্মত্তরা প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায় ঘরে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আসে পুলিশ। তবে পুলিশ আসার আগেই কলেজ ছাড়ে হামলাকারীরা।
অভিযোগ, ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি, বায়োমেট্রিক যন্ত্র, কম্পিউটার, দরজা-জানলা, আলমারি। কলেজ সূত্রের খবর, লোপাট করা হয়েছে কম্পিউটারের সিপিইউ, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। ভাঙচুর করার ছবি তোলায় এক ছাত্রী ও এক শিক্ষিকার ফোন কেড়ে ছবি মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে।

জানা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার মিটিং হল কাম স্টাফ কমন রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে। তাতে শিক্ষকদের কয়েক জন আপত্তি জানান। কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন। ১০ তারিখ শিক্ষকদের নিয়ে অধ্যক্ষ বৈঠক করেন। সিসি ক্যামেরা থাকবে, না খুলে নেওয়া হবে— তা নিয়ে আলোচনা হয়। কলেজ সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষকেরা সকলেই মত দেন, স্টাফ রুমে সিসি ক্যামেরা থাকুক। কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন হামলাকারীরা দাবি করে, সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলতে হবে। তাতে কার কী সুবিধা হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

বীণা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গন্ডগোল কী নিয়ে হল, জানতে পারিনি। গন্ডগোল শুরুর আগেই চলে এসেছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
দীর্ঘ দিন এখানে স্থায়ী অধ্যক্ষ ছিলেন না। বর্তমান অধ্যক্ষ গত পাঁচ বছর ধরে কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন নিয়ম ও অনুশাসনের উপরে জোর দিচ্ছেন। তাঁকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু মানুষ সক্রিয় বলে কলেজের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
তবে অধ্যক্ষ আফসার আলী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জানা গেছে, আফসার আলী গোটা বাংলায় সৎ,সজ্জন বলে পরিচিত। অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি সফল। কলেজ ও ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু লোক রাজনৈতিক ও ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য সিসি টিভি সহ অন্যান্য কাজের বিরোধিতা করছে বলে জানা গেছে।
তবে বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও