নেপালে আইনি বাধার মুখে সমকামী বিয়ের ‘স্বীকৃতি’

 

সম্প্রতি নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে আইন পরিবর্তন না করা পর্যন্ত সমাকামীদের বিয়ে নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরে মায়া গুরুং এবং সুরেন্দ্র পান্ডে ইতিহাস তৈরি করতে প্রস্তুত ছিলেন। মায়া একজন রুপান্তরিত মহিলা কিন্তু সরকারী নথিতে তার লিঙ্গ পরিবর্তন করেননি। তার সঙ্গী সুরেন্দ্র একজন সমকামী পুরুষ। আদালতের আদেশের পর তারা আইনগতভাবে বিয়ে করা নেপালের প্রথম সমকামী দম্পতি হতে যাচ্ছিলেন।

২০১৭ সালে এ দম্পতির একটি মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল কিন্তু তারা চেয়েছিল যে তাদের মিলনকে আইনিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। আদেশটি প্রগতিশীলদের দ্বারা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল যা হিমালয় দেশের সমকামী দম্পতিদের জন্য স্বস্তি আনবে। কিন্তু সেই দম্পতির স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ১৩ জুলাই, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর জেলা আদালত, তাদের বিবাহ নিবন্ধন করতে অস্বীকার করে, যুক্তি দিয়ে যে নিম্ন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ অনুসরণ করতে বাধ্য নয় কারণ এতে শুধুমাত্র সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু সেগুলো এখন ভেঙ্গে গেছে,’ গুরুং বিবিসিকে বলেছেন, ‘এটি আমাদের মনে করায় যে আমরা এই দেশের নাগরিক নই।’ এ দম্পতি পাটন শহরের একটি হাইকোর্টে একটি আপিল দায়ের করেছেন, তবে শুনানি ইতিমধ্যে পাঁচবার স্থগিত করা হয়েছে। বিবাহ নিবন্ধন করতে জেলা আদালতের অস্বীকৃতি নেপালের যৌন সংখ্যালঘুদের আইনি সুরক্ষা এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা উন্নত করতে কয়েক দশকের অগ্রগতির জন্য একটি নতুন ধাক্কা হিসাবে দেখা হচ্ছে।

পিঙ্কি গুরুং, যিনি এলজিবিটিকিউ রাইটস গ্রুপ, ব্লু ডায়মন্ড সোসাইটির নেতৃত্ব দেন, বলেছেন যে সম্প্রদায়ের সমানে এখনও বিবাহের সমতা অর্জনের জন্য ‘দীর্ঘ লড়াই’ আছে। ‘আদালত, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টই একমাত্র সত্ত্বা যা আমাদের অনেকবার সমর্থন করেছে।’ সুনীল বাবু পন্ত, যিনি দেশের প্রথম প্রকাশ্যে সমকামী এমপি ছিলেন এবং ব্লু ডায়মন্ড সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, ‘দীর্ঘস্থায়ী’ প্রক্রিয়াটিকে ‘সমস্ত যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: বিবিসি।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও