লখনউয়ের আইনজীবী অশোক পান্ডে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, গুজরাটের একটি আদালত মোদী উপাধি মামলায় রাহুলকে দোষী ঘোষণা করার পর, তাঁর সংসদ সদস্যপদ ২৪ মার্চ বাতিল করা হয়েছিল। গত ৪ আগস্ট এই মামলার শুনানির সময় রাহুলের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পরে, লোকসভা সচিবালয় ৭ আগস্ট তাঁর সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করে।
এই পুনর্বাহালের বিরুদ্ধে আইনজীবী অশোক পান্ডে তাঁর পিটিশনে বলেছেন, অভিযোগ থেকে খালাস না হওয়া পর্যন্ত রাহুলের সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করা যাবে না। সংবিধানের ১০২, ১৯১ অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্বের ধারা ৮(৩)-এর অধীনে সংসদ বা রাজ্য আইনসভার একজন সদস্য আইনতভাবে তাঁর পদে থাকা বন্ধ করে দিলে, হাইকোর্ট দ্বারা খালাস না হলে তিনি অযোগ্য হবেন।
প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির সময়, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ বলেছিল, ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু রাহুল গান্ধীর জনজীবনের অধিকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তাঁকে নির্বাচিত করা ভোটারদেরও ক্ষতি হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার কোনো কারণ জানাননি বিচারক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ থাকা প্রয়োজন। সাজা স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর তাঁর সংসদ সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করা হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকলে তিনি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তবে এই মামলা এখনও শেষ হয়নি। দায়রা আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে গুজরাট হাইকোর্টে এই বিষয়ে শুনানি চলবে। আদালত দুটি প্রধান বিষয় বিবেচনা করবে। প্রথম, রাহুল গান্ধী কি মানহানির মামলায় দোষী? দ্বিতীয়, দোষী হলে তাঁর কী শাস্তি হওয়া উচিত?