সোশ্যাল মিডিয়ায়(হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে) মণিপুর সহিংসতা নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার গারহাকোটায় সাইরো মালাবার চার্চের ধর্মযাজক এবং সেন্ট আলফানসো একাডেমির ম্যানেজার ফ্রেন্ড অনিল ফ্রান্সিসের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। এক মাস আগে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর পর ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করেন ওই ধর্মযাজক। জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ এবং চাপের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এফআইআর নিয়ে পুরোহিত উত্তেজনা ও চাপের মধ্যে ছিলেন, তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন। সাগর ডায়োসিসের জনসংযোগ আধিকারিক ফাদার সাবু পুথেনপুরাকলের মতে, ফ্রান্সিসের মৃতদেহটি পাওয়া যায় যখন তিনি বিশপের বাড়িতে দুদিনের রিট্রিটে যোগ দিতে পৌঁছান। পুলিশ লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ফ্রেঞ্জ হোসে মালেকুডি, জুডিশিয়াল ভিকার, সাগর ডায়োসিস দ্যা নিউজ মিনিটে জানিয়েছেন, “এক মাস আগে তিনি মণিপুর ইস্যু সম্পর্কিত একটি বার্তা পোস্ট করেছিলেন, যেখানে ভারতের জাতীয় পতাকাও ছিল। উদয়পুরার একজন প্রাক্তন ছাত্র, যিনি সংঘ পরিবারের সদস্যদের ছয় বছর ধরে অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁর ওই হোয়াটসঅ্যাপ পোস্ট দেখেন এবং একটি ফৌজদারি মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন যে তিনি জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন”।
তাঁরা আরও বলেন, “সেই পোস্টে জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কিছু ছিল না। এমনকি পুলিশও মামলা নথিভুক্ত করতে প্রস্তুত ছিল না, তবে তাদের উপর নির্দিষ্ট মহলের চাপ ছিল কিন্তু, মামলায় আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
এদিকে, ফ্রান্সিসের মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সুইসাইড নোটে ফ্রান্সিস চেয়েছিলেন, তাঁর শবদেহ দাফনের পরিবর্তে দাহ করা হোক। উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ এবং ভারতের ১১টি রাজ্যে একটি কঠোর ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে যা, প্রায়শই খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।
সূত্র: মকতুব মিডিয়া