মঙ্গলবার গভীর রাতে মথুরায় ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ড্রাইভার ট্রেন চালানোর সময় মোবাইলে কিছু দেখছিলেন। এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ড্রাইভার ঘটনার সময় হাল্কা নেশাগ্রস্তও ছিলেন। যদিও, ওই তদন্ত রিপোর্ট এখনও পেশ করা হয়নি। তবে, লাইভ হিন্দুস্তানের অনলাইন এডিশনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সূত্রের খবর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ড্রাইভারের ভুলের কারণেই ট্রেন প্ল্যাটফর্মের ওপরে উঠে গিয়েছিল।
শুধু তাই নয়, ওই প্রতিবেদনে সুত্রের দাবি করে আরও বলা হয়েছে, রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ক্রু বায়স অ্যান্ড ভিডিও রেকর্ডিং সিস্টেম’ থেকে এই ভুল সম্পর্কে জানা গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রেন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর পর সব যাত্রীরাই নেমে যান। এরপর ট্রেন কর্মী শচীন তাঁর মোবাইলে কিছু দেখতে দেখতে ট্রেনের ডিটিসি কেবিনে অর্থাৎ ইঞ্জিনে পৌঁছান। এরপর অসাবধানতা বশত তিনি নিজের পিঠের ব্যাগটি ইঞ্জিনের থ্রোটলের ওপর রেখে দেন। ব্যাগটি থ্রোটলে রাখা মাত্রই ট্রেন চলতে শুরু করে। প্ল্যাটফর্ম নম্বর-২ ভেঙে ট্রেন ৩০ মিটার উপরে উঠে যায়। তারপর, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আঘাত করার পর তা থেমে যায়। এই সময় প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়।
উল্লেখ্য, থ্রোটল ইঞ্জিনে অ্যাক্সিলারেটর হিসেবে কাজ করে। এর সাহায্যেই গতি বাড়ানো বা কমানো হয়। শুধু তাই নয়, শ্বাস বিশ্লেষক পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে শচীন হালকা নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে জানা যাবে কী মাত্রায় ও কী পরিমাণ নেশায় ছিলেন তিনি।
আগ্রা ডিভিশন ম্যানেজার তেজপ্রকাশ আগরওয়াল বলেন, ট্রেন আসার পর ইঞ্জিন কেবিনের চাবি সেখানে উপস্থিত সাপোর্ট স্টাফদের দিতে হয়। মঙ্গলবার রাতে ট্রেন এলে শচীনকে চাবি দেওয়া হয়। বর্তমানে রেলওয়ের প্রাপ্ত ২৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লোকো পাইলট সহ ৫ জন রেল কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা রেলের কর্মচারীরা হলেন লোকো পাইলট গোবিন্দ হরি শর্মা, হেলপার ইলেকট্রিশিয়ান শচীন, টেকনিশিয়ান কুলজিৎ, ব্রিজেশ এবং হারওয়ান কুমার।