আরএসএস হিংসা ছড়ানোর দায়িত্ব মোদীকে দিয়েছে, বললেন রাহুল গান্ধী

শনিবার শাজাপুরের একটি সমাবেশ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, দেশের সামনে একটাই ইস্যু আছে- জাতিশুমারি। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে আমরা প্রথম এই কাজটি করব। কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওবিসি সরকার চালান না। তিনি দলিত ও আদিবাসীদের জন্যও কাজ করেন না। তাঁর কাজ হল মনোযোগ সরানো, ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়ানো। আরএসএস তাঁকে এই কাজেরই দায়িত্ব দিয়েছে।
শনিবার মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলার পোলাইকালানে এক সমাবেশে ভাষণ দেন রাহুল। কংগ্রেসের জন আক্রোশ যাত্রায়ও অংশগ্রহণ করেনরাহুল।
রাহুল বলেন, ভারত ৯০ জন কর্মকর্তা (ভারত সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সচিব) দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেয় টাকা কোথায় যাবে কিন্তু এই কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন ওবিসি। ভারতের পুরো বাজেটে ওবিসি অফিসারদের অংশগ্রহণ মাত্র ৫%। যেখানে, ভারতে ওবিসি জনসংখ্যা ৫০%।
কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, ‘দেশের সামনে একটাই ইস্যু আছে- জাতিশুমারি। কতজন ওবিসি আছে? তাদের অংশগ্রহণ কি হওয়া উচিত? আমি যখন জাত শুমারির প্রশ্ন তুলি, তখন বিজেপির লোকেরা কাঁপতে শুরু করে। পালাতে শুরু করেন নরেন্দ্র মোদি।হিন্দু-মুসলিম করবেন অমিত শাহ। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে আমরা জাতিশুমারি সম্পন্ন করব।
রাহুল বলেন, আমাদের ভারত জোড়া যাত্রা মধ্যপ্রদেশে ছিল ৩৭০ কিলোমিটার। লোকেরা আমাকে বলেছিল যে মধ্যপ্রদেশ ভারতে দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু। মহাকাল করিডোরে টাকা চুরি করেছে বিজেপি। আমরা এমপি, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, কর্ণাটকের কৃষকদের ঋণ মওকুফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এখানে কমলনাথের ঋণ মকুব হয়ে গেল কিন্তু বিজেপির লোকেরা প্রতারণা করে সরকার চুরি করল। একইসঙ্গে, রহুল ব্যাপম, মিড-ডে মিল কেলেঙ্কারির কথাও উল্লেখ করেছেন।
রাহুল বলেন, আমাদের লড়াই আদর্শ নিয়ে। একদিকে কংগ্রেস, অন্যদিকে আরএসএস ও বিজেপি। একদিকে গান্ধীজি, অন্যদিকে গডসে। একদিকে বিদ্বেষ, হিংসা, অহংকার আর, অন্যদিকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্ব। তারা যেখানেই যায় সেখানে ঘৃণা ছড়ায়, ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
রাহুল বলেন, জনগণের জন্য সরকার চালানো উচিত। কোনো প্রতিষ্ঠানও দু-একজন বড় শিল্পপতির জন্য নয়। আজ রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, পরিকাঠামো সব জায়গায় আদানিকে দেখা যাবে। তারা প্রতিদিন কৃষক ও মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মিডিয়ার রিমোটও আদানির হাতে।
কংগ্রেসের সাংসদ বলেন, নারী সংরক্ষণ কার্যকর হতে দশ বছর সময় লাগবে। এর আগে জরিপ করার দরকার কী? মহিলাদের সংরক্ষণে কেন কোনও ওবিসি সংরক্ষণ নেই, যেখানে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে তিনি ওবিসি নেতা। আইন তৈরি করে আরএসএস এবং বিজেপির লোকেরা। এমনকি বিজেপি সাংসদদেরও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও