‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ অবশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদে পরিণত হবে, মন্তব্য সিংভির

কংগ্রেস সাংসদ ও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জনসংখ্যার ভিত্তিতে জনগণকে অধিকার দেওয়ার দাবি করার একদিন পরে, দলের বরিষ্ঠ নেতা অভিষেক মনু সিংভি তাঁর সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘জিতনি আবাদি, উত্না হক'(যত জনসংখ্যা, ততটাই অধিকার)-এর পরিণতি প্রথমে পুরোপুরি বুঝতে হবে। তিনি বলেন, এটি শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদে পরিণত হবে।
সিংভি এক্স-এ লিখেছেন, “সুযোগের সমতা কখনই ফলাফলের সমতার মতো নয়। ‘জিতনি আবাদি উতনা হক’ সমর্থনকারী লোকদের প্রথমে এর পরিণতি পুরোপুরি বুঝতে হবে। এটি শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদে পরিণত হবে”।
সোমবার, মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিহার সরকার বহু প্রতীক্ষিত জাত-ভিত্তিক সমীক্ষা প্রকাশ করার পরে রাহুল গান্ধী ওই মন্তব্য করেন। বিহার সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বর্ণ ভিত্তিক আদমশুমারি প্রকাশের পরে, রাহুল গান্ধী সোমবার তাঁর দাবি ফির একবার জানিয়ে বলেন, জনসংখ্যা যত বেশি, তত বেশি অধিকার।
তিনি বলেন, আদমশুমারি প্রকাশ করেছে যে ওবিসি, তফসিলি জাতি এবং তফসিল উপজাতি (এসটি) রাজ্যে ৮৪ শতাংশ। তাই ভারতের বর্ণ পরিসংখ্যান জানা গুরুত্বপূর্ণ।
রাহুল গান্ধী এক্স-এ লিখেছেন,“বিহারের জাত শুমারি প্রকাশ করেছে যে ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী), এসসি এবং এসটিরা সেখানে ৮৪ শতাংশ। কেন্দ্র সরকারের ৯০ জন সচিবের মধ্যে মাত্র তিনজন ওবিসি, যারা ভারতের বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ পরিচালনা করেন”।
কেরালার ওয়েনাডের লোকসভা সাংসদ বলেন,“অতএব, ভারতের জাতপাতের পরিসংখ্যান জানা গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যা যত বেশি হবে, তত বেশি অধিকার – এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি”।
প্রতিবেদন অনুসারে, বিহারের জনসংখ্যা ১৩ কোটিরও বেশি, যার মধ্যে অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণী (ইবিসি) জনসংখ্যার ৩৬.০১ শতাংশ, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) ২৭ শতাংশ, তফশিলি জাতি ১৯.৬৫ শতাংশ, তফসিলি উপজাতি ১.৬৮ শতাংশ, যেখানে উচ্চ জাতি জনসংখ্যার ১৫.৫২ শতাংশ। অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে, যাদবরা জনসংখ্যার ১৪.২৬ শতাংশ, কুশওয়াহা এবং কুর্মিরা যথাক্রমে ৪.২৭ শতাংশ এবং ২.৮৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত বছর বিহার বিধান মণ্ডলের উভয় কক্ষে জাত-ভিত্তিক সমীক্ষা পাস হয়েছিল এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দল এতে সম্মতি দিয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও