ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষের মধ্যে ২৭৪জন ভারতীয় নাগরিককে বহনকারী একটি বিশেষ ফ্লাইট শনিবার দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ‘অপারেশন অজয়’ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি চতুর্থ ফ্লাইট। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস জঙ্গিদের দ্বারা ইসরায়েলি শহরগুলিতে নির্লজ্জ হামলার পর যেসমস্ত ভারতীয়রা দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক তাদের সুবিধার্থে ১২ অক্টোবর থেকে কেন্দ্রের তরফে চালু করা হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’ নামে এই বিশেষ অভিযান।
তেল আবিবে ভারতীয় দূতাবাস এর আগে ঘোষণা করেছিল যে শনিবার বেন গুরিওন বিমানবন্দর থেকে দুটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় সময় বিকেল ৫.৪০ মিনিটে প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। ২৭৪জন ভারতীয় নাগরিক নিয়ে দ্বিতীয় ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১১.৪৫ মিনিটে যাত্রা করে। ১৯৭ জন ভারতীয় নাগরিকের তৃতীয় ব্যাচ স্থানীয় সময় ৫.৪০মিনিটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক্স-এ একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “#অপারেশন অজয় এগিয়ে চলেছে। আরও ১৯৭জন যাত্রী ভারতে ফিরে আসছেন”।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে ভারতের দূতাবাস এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, “#অপারেশনঅজয়ের অংশ হিসাবে, যেসমস্ত ভারতীয় নাগরিকরা এখনও ইজরায়েলে আছেন এবং ভারতে ফিরে যেতে ইচ্ছুক, সংযুক্ত ভ্রমণ ফর্মটি পূরণ করার জন্য তাঁদের জরুরিভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
ভারতীয় দূতাবাসও নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, যে “অপারেশন অজয়’-এ ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে ভ্রমণ স্লট বরাদ্দ করা হবে এবং “নো-শো বা নিশ্চিতকরণ এবং স্লটিং করার পরে ভ্রমণ করতে অস্বীকার করার ক্ষেত্রে, আপনার নাম সারির পিছনে সরানো হবে।”
রাষ্ট্রদূত সঞ্জীব সিংলা পিটিআইকে বলেছেন, “ইজরায়েলে আমাদের সকল নাগরিক যারা চলে যেতে ইচ্ছুক তাদের সুবিধার্থে দূতাবাস সর্বক্ষণ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবী এবং ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের কাছে আর্জি জানিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এসে আমাদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে। আমরা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই”।
ইজরায়েলে ভারতীয় দূতাবাস দিনের শুরুতে এক্স-এ একটি পোস্ট করে ঘোষণা করেছিল, “দূতাবাস আজ দুটি বিশেষ ফ্লাইটের জন্য পরবর্তী নিবন্ধিত ভারতীয় নাগরিকদের ইমেল করেছে। অন্যান্য নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বার্তাগুলি পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য অনুসরণ করা হবে”।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দূতাবাস দ্বারা সমস্ত ভারতীয়দের মিশনের ডাটাবেসে নিবন্ধন করার জন্য একটি ড্রাইভ শুরু করার পরে যাত্রীদের “আগে আসলে আগে পরিষেবা” ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হচ্ছে। তাদের ফেরার খরচ সরকার বহন করছে।