‘‘প্রায় সারা দেশে বিজেপি’র রাজনৈতিক শক্তি কমছে। বিজেপি’র সঙ্গী হচ্ছে যারা, মানুষ তাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।’’
রবিবার মুম্বাইয়ে দলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের বৈঠকে এ কথা বলেছেন এনসিরপি সভাপতি শারদ পাওয়ার। তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার এনসিপি ভেঙে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন। তার জেরে মহারাষ্ট্রে জোট সরকার করে আসীন হয়েছে বিজেপি।
শারদ পাওয়ার সারা দেশের উদাহরণও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যেও সরকারে নেই বিজেপি। যারা বিজেপি’র সঙ্গে যাচ্ছে মানুষ তাদের থেকে সরে যাচ্ছেন। সারা দেশেই এই ছবি দেখা যাচ্ছে।’’
এ বছরের জুলাইয়ে অজিত পাওয়ার আট বিধায়ক নিয়ে বিজেপি’র সঙ্গী হয়েছেন এনসিপি নাম নিয়েই। তাঁর দাবি দলের সিংহভাগ বিধায়ক রয়েছেন সঙ্গে। দলের প্রতীকও দাবি করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে তা নিয়ে মামলাও চলছে। অজিত যোগ দেওয়া আগে শিবসেনার ভাঙন হয়। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে একাংশ শিবসেনা যোগ দেয় বিজেপি’র সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছে বিজেপি’র দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
রাজস্থান, ছত্তিশগড় পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের উদাহরণ দিয়েছেন শারদ পাওয়ার। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোটে জিতে সরাসরি বিজেপি সরকার গড়েছে উত্তর প্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যে। মধ্য প্রদেশেও বিজেপি সরকারে গিয়েছিল কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে। গোয়ায় একই কৌশল কাজে লাগিয়েছে।’’
লোকসভা ভোটে জয়ের পর বিজেপি’র রাজনৈতিক প্রভাব কমছে কেন? পাওয়ারের ব্যাখ্যা, ‘‘ক্ষমতার অপব্যবহার বিজেপি’র থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি’র পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের লাভ হচ্ছে না। সূত্র: গণশক্তি