মানুষের আবার জাতপাত! কিন্তু ওরা বুঝবে না। একবিংশ শতকে এসেও জাতপাতের রাজনীতির বলি হতে হয় অনেককে। এই যেমন জাতপাতের অপমান সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার বিষ খেয়েছিলেন গুজরাটে আমরেলির বাগসারা মহকুমার জনজারিয়া গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বিষ খাওয়ার আগে ভিডিও বার্তায় প্রধান শিক্ষক কান্তি চৌহান বলেন,‘‘আমার জন্ম নিচু জাতের পরিবারে, কিন্তু আমি শিক্ষক। এটিই আমার পরিচয়। আমার শিক্ষকতার কাজ কেড়ে নেবেন না। আপনারা আমাদের খাটো করেন, আমাদের জাতের পরিচয়কে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র করেন।’’
রবিবার সন্ধ্যায় জুনাগড় হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিনি। তীব্র ক্ষোভে আশেপাশে বহু এলাকার দলিত মানুষ জড়ো হয়েছেন থানায়।
কান্তি চৌহানের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পঞ্চায়েত প্রধান মুকেশ বোরিসাগর এবং তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই তিন শিক্ষক- রঞ্জন লাথিয়া, হংস টঙ্ক এবং ভাবনা নিয়মিত জাত তুলে ওই প্রধান শিক্ষককে খাটো করতেন। সামাজিক হেনস্তার পাশাপাশি ছাত্র এবং অভিভাবকদের কান্তি চৌহানকে হেনস্তা করার জন্য উসকানি দিতেন বলে অভিযোগ শিক্ষকের পরিবারের।
গ্রামবাসীদের অনেকে বলছেন, ছাত্রদের জন্য সময়ের আগে স্কুলে চলে আসতেন কান্তি চৌহান। ছাত্রদেরও আগে আসতে বলতেন। এক ছাত্র দেরি করায় বকাঝকা করেন। এই ঘটনাকে ব্যবহার করে গ্রামে চৌহানের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হয়। অভিভাবকদের বিক্ষোভের শিকার হন স্কুল শিক্ষক।
বাগসারা থানায় দলিত বিভিন্ন অংশ সমবেত হয়ে তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আমরেলির ডেপুটি পুলিশ সুপার জেপি ভান্ডারি বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তরা পলাতক। তবে তাদের ধরতে ৯০ জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে ১০টি দল করা হয়েছে।’’