অন্ধ্রপ্রদেশে ট্রেনের সংঘর্ষে মৃত ১৪, পরিচয় জানা গিয়েছে ১১ জনের

 

অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরম জেলার হাওড়া-চেন্নাই লাইনে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪-এ পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন ৫০জন। সোমবার এই তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এম দীপিকা।
সিয়াসত ডেইলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের (ইসিআর) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেন এখান থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কান্তকাপল্লীতে পেছন থেকে রায়গাদা যাত্রীবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ইসিআর-এর চিফ পাবলিক রিলেশন অফিসার (সিপিআরও) বিশ্বজিৎ সাহু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন।
তবে, পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ভিজিয়ানগরম (টাউন) ডিআরও জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের তিরুমালা হাসপাতাল এবং এনআরআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোঠাভালাসা ‘মণ্ডল’ (ব্লক)-এর কান্তকাপল্লি জংশনের কাছে বিশাখাপত্তনম-পালাসা যাত্রী এবং বিশাখাপত্তনম-রায়াগাদা যাত্রীর মধ্যে হওয়া রবিবারের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সিয়াসত ডেইলি অনুসারে, বিশাখাপত্তনম-রায়গাদা ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম থেকে ওড়িশার রায়গাড়া যাচ্ছিল, যখন পালাসা এক্সপ্রেসটি শ্রীকাকুলাম জেলার পালাসা থেকে ভিজিয়ানগরাম যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর, স্থানীয় পুলিশ উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করে। দুর্ঘটনাস্থলে অন্ধকার থাকায় উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়ে। ওয়াল্টেয়ার বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার সৌরভ প্রসাদ এবং পূর্ব উপকূল রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
অন্ধ্র ট্রেন দুর্ঘটনার তথ্যের জন্য হেল্পলাইন স্থাপন করা হয়েছে। জেলা কালেক্টর এস নাগালক্ষ্মী বলেছেন, যাত্রীদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য তাঁর অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ৯৪৯৩৫৮৯১৫৭ নম্বরে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তথ্য দেওয়ার জন্য রেলওয়ে একটি হেল্পলাইন – ৮৯৭৮০৮০০০৬-ও খুলেছে।
যাত্রীদের সহায়তা করার জন্য নিম্নলিখিত জরুরি হেল্পলাইন নম্বরগুলি সেট আপ করা হয়েছে৷
ইলুরু- ০৮৮১-২২৩২২৬৭
সামলকোট- ০৮৮৪-২৩২৭০১০
রাজমুন্দ্রি-০৮৮৩২৪২০৫৪১
টুনি- ০৮৮৫৪-২৫২১৭২

অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি সোমবার ভিজিয়ানগরম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসা ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও