গাজায় পরমাণু বোমা ফেলবে ইসরাইল!

 

 

ইসরাইলের ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই ইলিয়াহু বলেছেন, গাজায় পরমাণু বোমা ফেলতে পারে ইসরাইল। গাজায় অব্যাহত বোমা হামলার মধ্যেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকে দমাতে সমস্যা হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তার এই মন্তব্যে অবশ্য ব্যাপক হইচইয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর তাকে সরকারি সভাগুলোতে তার উপস্থিতির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।

রেডিও কোল বারামায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অতি উগ্র উজমা ইয়েহুদির পার্টির সদস্য ইসরাইলি মন্ত্রী ইলিয়াহু গাজায় পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা হুমকি দেয়া ছাড়াও সেখানে ইহুদিদের বসতি আবার গড়ে তোলার কথাও বলেন। এছাড়া তিনি গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘আয়ারল্যান্ড বা মরুভূমিতে’ সরিয়ে দেয়ার দাবিও জানান।

তার এই ঘোষণায় নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি সভাগুলোতে উপস্থিতির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। তিনি অবশ্য পরে তার মন্তব্যকে হালকা করে বলেছিলেন, এটা স্রেফ ‘রূপক’ অর্থে বলা হয়েছিল।

এই মন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বিরোধী দলের নেতা লাপিদ।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমিচাই ইলিয়াহুর কথা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। ইসরাইল এবং আইডিএফ নিরীত লোকদের ক্ষতি প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আইনের সর্বোচ্চ মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করছে। আমরা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত এ কাজ অব্যাহত রাখব।’

গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতিতে অগ্রগতি : বাইডেন
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধে তথাকথিত ‘মানবিক বিরতি’তে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার এ কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও একই ইস্যুতে কাজ করে যাচ্ছেন।

দেলওয়ারে চার্চ থেকে বের হওয়ার পথে বাইডেনকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে, গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়েছে কিনা? তার জবাবে তিনি বলেছেন, হ্যাঁ। তবে বিস্তারিত তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।

হামাস সরকার বিদেশীদের মিসরে সরিয়ে নেয়া স্থগিত করেছে: সীমান্ত কর্মকর্তা
গাজার হামাস সরকার বিদেশী পাসপোর্টধারীদের মিসরে সরিয়ে নেয়া স্থগিত করেছে।
মিসরের হাসপাতালে আহত কিছু ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নিতে ইসরাইল অনুমোদন দিতে অস্বীকার করায় শনিবার এ কার্যক্রম স্থগিত করলো হামাস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সীমান্ত কর্মকর্তা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, কোনো বিদেশী পাসপোর্টধারী গাজা উপত্যকা ত্যাগ করতে পারবে না যতক্ষণ না উত্তর গাজার হাসপাতাল থেকে আহত ব্যক্তিদেরকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিসরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিসরের নিরাপত্তা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, কোনো আহত ব্যক্তি কিংবা বিদেশী পাসপোর্টধারী কাউকে শনিবার রাফাহ ক্রসিয়ে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, মিসরের রাফাহ টার্মিনালের দিকে আহত ব্যক্তিদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স কনভয়ে হামলার পর স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আসে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ইসরাইলী বাহিনীর ঘোষণায় বলা হয়েছে তারা গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফার বাইরে রাখা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে, কাণন এসব হামাসের সন্ত্রাসী সেলে ব্যবহৃত হতো।

সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি এবং অন্যান্য

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও