আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি সঙ্কটের কারণে অবরুদ্ধ গাজার সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডক্টর আশরাফ আল-কুদরা।
মঙ্গলবার আল-জাজিরা আরবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ইতোমধ্যে তাদের আয়ত্ত্বের বাইরে চলে গেছে, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলে।
তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার গাজার সর্ববৃহৎ দুই হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদসের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণ হলো জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সরঞ্জামাদির অভাব।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ডাক ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার ৩৮তম দিনে প্রবেশ করার সাথে সাথে কমপক্ষে ১১ হাজার ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭ হাজার ৭০০টিরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা