গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভের সন্তানকে জরুরি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। আজ শুক্রবার শিশুটির চাচা এএফপিকে এ তথ্য জানান। গত শনিবার রাতে গাজা উপত্যকার রাফা শহরের দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৯ জন নিহত হন। এ হামলাতেই স্বামী, মেয়েসহ সাবরিন আল সাকানি নামের ওই ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হন। সদ্যোজাত শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল সাবরিন আল-রুহ। সেই ছিল তার পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা সদস্য। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার দ্য ইমিরাতি হাসপাতাল জানায়, অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া এ শিশুটি গতকাল বৃহস্পতিবার মারা গেছে। নিউনাটাল ইউনিটের সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। শিশুটির চাচা রামি আল-শেইখ এএফপিকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে বলেছিল শিশুটির অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং তাকে বাঁচানো যায়নি। এরপর তিনি হাসপাতালের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর তাকে তার বাবার কবরে কবর দেন। গত শনিবার সাবরিন আল-সাকানিকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহরের কুয়েতি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর মাথায় ও পেটে আঘাত লেগেছিল। এরপর অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার কিছু সময় পরেই তিনি মারা যান। সে সময় চিকিৎসকেরা এভাবে শিশুটির বেঁচে যাওয়াকে ‘অলৌকিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তথ্য: এএফপি, প্রথম আলো