প্রকাশিত হলো চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন। মেধা তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে রয়েছেন ৫৭ জন। মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। কৃতী এই ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। ৯৯% নম্বর পেয়েছেন চন্দ্রচূড়। মাধ্যমিকে এবছর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২ (৯৮.৯৬ %)।
তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন ৩ জন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের উদয়ন প্রাসাদ, বীরভূম থেকে নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের পুষ্পিতা বাসুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের
নৈঋতরঞ্জন পাল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন হুগলি থেকে কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপস স্কুলের ছাত্র তপজ্যোতি মণ্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।
পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাইস্কুলের অর্ঘ্যদীপ বসাক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন ৪জন শিক্ষার্থী।
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বালুরঘাট হাইস্কুলের কৃষানু সাহা, মালদহ থেকে মোজামপুর হাইস্কুলের মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ সাহু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অলিভ গায়েন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের আবৃত্তি ঘটক এবং অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট হাইস্কুলের সাত্বত দে। এ ছাড়াও বীরভূম থেকে সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্র আরত্রীক সৌ, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ছাত্র সুপম কুমার রায়, বিবেকানন্দ আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র কৌস্তভ মাল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র আলেখ্য মাইতি। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭।
অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমান থেকে বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ইন্দ্রানী চক্রবর্তী, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের তনুকা পাল এবং নদিয়া থেকে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের হৃদি মল্লিক। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬ ।
নবম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ শিক্ষামন্দির হাই স্কুলের সায়ক শাসমল, সাগর জানা, বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র সাগ্নিক ঘটক, নদিয়ার চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র জিষ্ণু দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ঋতব্রত নাথ, ঋত্বিক দত্ত, সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ছাত্র সায়নদীপ মান্না এবং শ্যামপুর হাই স্কুলের ছাত্র অরণ্যদেব বর্মন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।
দশম স্থানে অধিকার করেছেন ১৫ জন পরীক্ষার্থী। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের ভূমি সরকার, মালদহের মোজামপুর হাইস্কুলের বিশাল মণ্ডল, বাকুঁড়ার বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সৌভিক দত্ত, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরামদাস ইনস্টিটিউটের অনীশ কোনার, পূর্ব বর্ধমানেরর পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাইস্কুলের অর্ণব বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের সম্পূর্ণা নাথ, হুগলির ইএলআইটি কো-এডুকেশন স্কুলের নীলাঙ্কন মণ্ডল, বাঁকুড়ার তালডাংরা ফুলমতি হাই স্কুলের সৌমিক খান, গড় রায়পুর হাইস্কুলের সৌমদীপ মণ্ডল, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের অগ্নিভ পাত্র, পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউশনের সম্পাদ পারিয়া, ঋতম দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রকান্তি জানা এবং সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ইশান বিশ্বাস। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।