১৪ অগাস্ট রাতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে কিছু দুস্কৃতীদের দ্বারা ভাঙচুর সংঘটিত হয়েছিল। এনিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অভাবকে চিহ্নিত করেছে৷ আদালত এত বড় আকারের সহিংসতা পুলিশ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছেন, “যদি ৭০০০ লোক জড়ো হতে হয়, তবে বিশ্বাস করা কঠিন যে রাজ্য পুলিশ জানত না।” আদালত বলেছে, “এটা রাজ্য প্রশাসনের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল। তারা কি নিজেদের মানুষদের রক্ষা করতে পারেনি? দুঃখজনক পরিস্থিতি। এই ডাক্তাররা কীভাবে নির্ভয়ে কাজ করবেন?” আদালত আরও বলেছে, “আপনি যেকোনো কারণে সিআরপিসি আদেশের ১৪৪ ধারা পাস করেন। যখন এত বিশৃঙ্খলা চলছে, তখন আপনার উচিত ছিল এলাকাটি ঘিরে রাখা”
এদিকে শুক্রবার পুলিশ বলেছে, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের ২২শে আগস্ট পর্যন্ত একটি সিটি কোর্ট পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। ১৪ আগষ্ট রাতে আরজি কর কান্ডের নিন্দা জানিয়ে রাজ্য জুড়ে মহিলাদের মধ্যরাতে বিক্ষোভের মধ্যে হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ড, নার্সিং স্টেশন, ওষুধের দোকান এবং হাসপাতালের বহিরাগত বিভাগের কিছু অংশ দুর্বৃত্তরা ভাংচুর করে।