কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) সদস্য অভিষেক সিংভি রাজ্যপালের পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। অভিষেক মনু সিংভি রাজ্যপালদের ভূমিকাকে করুণ করে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, হয় রাজ্যপালের পদটি বিলুপ্ত করা উচিত নয়তো সবার সম্মতিতে, তুচ্ছ রাজনীতিতে জড়িত নয় এমন একজনকে নিয়োগ করা উচিত। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক সিংভি এসব অভিযোগ করেছেন। এ সময় তিনি সংসদ নির্বাচনে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। অভিষেক সিংভি বলেছেন, কাজ যাতে দলীয় লাইনের ঊর্ধ্বে উঠে করা যায় তা নিশ্চিত করতে দেশে সংসদীয় সংস্কার করা দরকার। তেলেঙ্গানার রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক সিংভিও সংসদে বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি সংসদীয় চেতনাকে গুরুত্ব দিই। আমি বিশ্বাস করি, সেন্ট্রাল হল শুধু একটি জায়গা নয়, এটি একটি ধারণা। আমি দলাদলি থেকে স্বাধীন উদারতায় বিশ্বাস করি।
সাক্ষাৎকারে তিনি এনডিএ সরকারের আমলে শীতকালীন অধিবেশনে বিপুল সংখ্যক সাংসদকে সাসপেন্ড করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনার আদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে ১৪২ জনকে সাসপেন্ড করা যায় না, যুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা যায় না। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে তাদের মতামত সংসদে উপস্থাপন করতে হবে এবং সরকারকেও বিরোধীদের কথা শুনতে হবে। শুধু দেখানোর জন্য কৃত্রিম সংসদ হতে পারে না।
তিনি রাজ্যপালদের ভূমিকা সম্পর্কে আরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার রাজ্যপালদের ভূমিকাকে অত্যন্ত করুণ করে তুলেছে। এই সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে হতাশ করেছে। তিনি বলেন, আজ রাজ্যপাল শাসনে বাধা দেন। আজ তাদের পর্যায়ে বিল অনুমোদনে বিলম্ব হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে ১০টি বিল আটকে রাখা হয়েছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার একদিন আগে দুই-তিনটি বিল অনুমোদন করা হয় এবং বাকিগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। এ সময় তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যপালের পদ পুনর্বিবেচনা করা উচিত কি না? এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, রাজ্যপালের পদটি বাতিল করা উচিত বা এমন ব্যক্তিকে রাজ্যপাল করা উচিত যার বিষয়ে সবাই একমত। এছাড়াও সেই ব্যক্তিকে তুচ্ছ রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়।