বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল পাশ, মৃত্যুদণ্ড থেকে শুরু করে কী কী বিধান রয়েছে?

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এহেন আবহে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী বিল ‘অপরাজিতা’। বিরোধীরাও এই বিলকে পূর্ণ সমর্থন করেছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বিলটি উত্থাপন করেন। এই বিলে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশকে ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ব্যতিক্রমী ঘটনার ক্ষেত্রে সময়সীমা ১৫ দিন বাড়ানো যেতে পারে। এই বিলে অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের ৩৬ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই বিলে অপরাধীকে সাহায্য করলে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।অপরাজিতা বিলকে আইনে পরিণত করতে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে। বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাস হয়েছে, এখন তা স্বাক্ষরের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে। 

বিলে প্রতিটি জেলায় অপরাজিতা টাস্কফোর্স গঠনের বিধান রয়েছে। এই টাস্কফোর্স ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে। টাস্ক অ্যাকশন ফোর্স এই মামলায় অপরাধীদের কারাগারে আনবে। মমতা সরকারের আনা এই বিলে ধর্ষণের পাশাপাশি অ্যাসিড হামলাকেও সমান গুরুতর বলে মনে করা হয়েছে। যারা নারীদের ওপর অ্যাসিড হামলা চালায় তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে যে তারা এ ধরনের অপরাধ করার আগে দশবার ভাববে। এ জন্য এই বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এই বিলে ধর্ষণের মতো মামলায় নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই বিলে ধর্ষণের শিকারের পরিচয় প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ধর্ষণের তদন্ত ও বিচারের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য বিএনএসএস বিধানের সংশোধন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সব যৌন অপরাধ ও অ্যাসিড হামলার বিচার ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সরকার আশা করছে এই বিল আনার ফলে রাজ্যে নারী নির্যাতন কমবে।

ধর্ষণ বিরোধী বিল সম্পর্কে জানুন

এই বিলে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে দোষী ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। 

চার্জশিট দাখিলের ৩৬ দিনের মধ্যে সাজা দেওয়ার বিধান। 

পুলিশকে ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।

অপরাধীকে সাহায্য করলে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান।

প্রতিটি জেলায় বিশেষ অপরাজিতা টাস্কফোর্স গঠনের বিধান।

এই টাস্কফোর্স ধর্ষণ, অ্যাসিড, হামলা, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে।

অ্যাসিড হামলা ধর্ষণের মতোই গুরুতর এবং এর জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। 

যারা নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করবে তাদের বিরুদ্ধে ৩-৫ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান।

বিলে ধর্ষণের তদন্ত ও বিচার ত্বরান্বিত করতে বিএনএসের বিধানে সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও