দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলজি অফিসে পৌঁছান তিনি। তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সঙ্গে ছিলেন অতীশিও। আপ বিধায়ক দলের বৈঠকে অতীশিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ প্রধান বলেছিলেন, তিনি তখনই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন যখন জনগণ তাকে সততার শংসাপত্র দেবে। কেজরিওয়ালের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় অতীশি দলীয় প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁকে তার গুরু বলে সম্বোধন ছিলেন। দিল্লির তৃতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হবেন অতীশি। তার আগে বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ এবং কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পর অতীশি বলেন, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় তাকে ৬ মাস জেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেজরিওয়ালের জায়গায় অন্য কোনও নেতা থাকলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারে বসতেন। কিন্তু, কেজরিওয়াল যা করেছেন, বিশ্বের কোনো নেতা তা করতে পারেননি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তার প্রথম প্রতিক্রিয়ায় অতীশি বলেন, একদিকে সুখ আছে, অন্যদিকে দুঃখও রয়েছে। দুঃখজনক যে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করছেন। আগামী কয়েক মাস আমি একটাই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব। সেই লক্ষ্য হবে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরিয়ে আনা। আমি তাঁর নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করব।