মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে একটি হৃদয় বিদারক খবর বেরিয়েছে। ৯ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি পাশবিকতা করেছে। ৯ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত ৫ বছরের ছোট বোনকে ২০ টাকা দিয়ে চুপ করে থাকার হুমকি দেয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশও হতবাক। পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজছে, তবে এখনও তার সম্পর্কে কিছু পাওয়া যায়নি।রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানা গেছে।
নির্যাতিতার বাবা-মা পেশায় শ্রমিক। তাই তার দুই মেয়েই বাড়িতে একাই থাকত। নির্যাতিতার বয়স ৯ বছর এবং তার ছোট বোনের বয়স ৫ বছর। রবিবার সন্ধ্যায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের বাড়িতে এসে মেয়েটির বাবা-মায়ের কথা জিজ্ঞেস করে। মেয়েরা জানায় তারা বাড়িতে নেই। এমতাবস্থায় অভিযুক্তরা জোর করে বাড়িতে ঢুকে ৯ বছরের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করতে থাকে। নির্যাতিতার ছোট বোন এসব ঘটনা নিজের চোখে দেখছিল। খবরে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর অভিযুক্ত তার ছোট বোনের কাছে ২০ টাকা তুলে দেয় এবং কাউকে মুখ না খোলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাবা-মা বাড়িতে এসে বড় মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেলে ছোট মেয়ে তাদের পুরো ঘটনা খুলে বলে।
নির্যাতিতাকে নিয়ে থানায় পৌঁছান অভিভাবকরা। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে ভিকটিমকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে নিশ্চিত হয়েছে, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পুলিশ এই বিষয়ে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে। যদিও দুই মেয়েই অভিযুক্তকে চেনে না। পুলিশকে জানাই, অভিযুক্ত মারাঠিভাষী এবং তার কপালে একটি দাগ রয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানে না। পরিচিত কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতার পরিবারের ঘনিষ্ঠ বা প্রতিবেশী হতে পারে। তিনি জানতেন, এ সময় মেয়েরা বাড়িতে একা থাকে। একইসঙ্গে ৯ বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করে অভিযুক্তরা। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।