গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত

টিএইচজি বাংলা:
এই প্রথম জামায়াতে ইসলামী হিন্দের ছাত্রী সংগঠন গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচন হল।
কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েছেন কর্ণাটকের আইনজীবী সুমাইয়া রওশন এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কেরলের সামার আলী। গত ৩০ জুলাই এক নির্বাচন হয়, সেখানেই জিআইও-র নেতৃত্ব তৈরি হয়।

সংগঠন সূত্রে খবর, এর আগে জি আই ও সরাসরি জামায়াত-ই-ইসলামী হিন্দের অধীনে কাজ করত তবে বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য পর্যায়ে সভাপতি ও সম্পাদক রয়েছে।

গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন হলেও সংগঠনটির কমিটি তৈরি হয়নি। জানা যাচ্ছে, খুব দ্রুত একটি কেন্দ্রীয় কমিটিও গঠিত হবে।
এই কমিটির মেয়াদ হবে দুই বছর।

জিআইও ১৯৮৪ সাল থেকে সারা দেশে মহিলাদের জন্য কাজ করছে। বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠনটির শাখা আছে। সংগঠনটি বলছে, বিগত কয়েক বছর ধরে জিআইও রাজ্য স্তরে মুসলিম মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করতে থাকবে।

সংগঠনের নেতৃত্ব বলছেন, গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের লক্ষ্য হল ছাত্রীদের একত্রিত করা, তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করা এবং নিজেদেরকে সার্বিক ভাবে পুষ্ট করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা। সর্বপরি তাদেরকে সমাজের চলমান চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করা। শুধুমাত্র মুসলিম নারীদের সমস্যাগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সাধারণভাবে সমাজের সকল মহিলাদের সমস্যা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করবে তারা।

জিআইও বলছে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অংশ হওয়ার কারণে দেশের প্রতিটি নাগরিককে নিজেদের বিকশিত করার এবং তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা অর্জনের সমান সুযোগ প্রদান করতে হবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভারতে মহিলারা সমাজের সর্বত্র বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
মন্ডল কমিশনের সুপারিশের চল্লিশ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু অনগ্রসর সম্প্রদায় যেমন ওবিসিদের জন্য যে সুযোগ গুলি প্রাপ্য ছিলো তার মধ্যে যথেষ্টো বৈষম্য রয়ে গেছে।

সংগঠনের নেতৃত্ব বলছেন, জিআইও নারীদের শিক্ষাগত উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থার অগ্রগতি, উদ্যোক্তা তৈরি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করে। সংগঠন সমাজে একটি উন্মুক্ত ও উদার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে, যেখানে যে কেউ তাদের নায্য অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে পারে এবং তাদের উপর হওয়া অন্যায় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও