সক্রিয় জ্বালামুখের ওপর দড়িতে হাঁটলেন তাঁরা

ভূমি থেকে অনেক ওপরে দড়ি টানানো হয়েছে। সেই দড়ির ওপর দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে হাঁটছেন দুজন। আর তাঁদের ঠিক নিচে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভার উদ্‌গিরণ। উড়ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। দড়ি থেকে পা ফসকে পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে হেঁটেছেন দুই ব্যক্তি। এ জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠাতে আবেদন করেছেন তাঁরা।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভানুয়াতুর তান্না দ্বীপের ইয়াসুর আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। সেই আগ্নেয়গিরির ঠিক ওপরে দড়িতে হেঁটেছেন রাফায়েল জুগনো বরিদি ও আলেকজান্ডার শুলজ নামের দুজন।

তাঁদের এই হাঁটার ভিডিও নিজেদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যাচ্ছে, মাথায় হেলমেট পরে দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটছেন রাফায়েল ও আলেকজান্ডার। অবশ্য তাঁদের কোমরে নিরাপত্তার জন্য দড়ি বাঁধা ছিল। আর ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। এভাবেই সক্রিয় আগ্নেয়গিরিটির ঠিক ওপরে ২৬১ মিটার বা ৮৫৬ ফুট পথ দড়ির ওপর হেঁটে পাড়ি দেন তাঁরা।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ক্যাপশনে আরও বলা হয়েছে, মাউন্ট ইয়াসির আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ৪২ মিটার বা ১৩৭ ফুট ওপরে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী রাফায়েল ও আলেকজান্ডারের হাঁটার জন্য দড়িটি টানানো হয়েছিল। হাঁটা শেষে তাঁরা দাবি করেছেন, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ঠিক ওপরে দড়ির ওপর ভারসাম্য রেখে তাঁদের আগে আর কেউ হাঁটেননি। এ কাজে তাঁরাই বিশ্বে প্রথম।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী রাফায়েল ও আলেকজান্ডারের এ দাবি এখন যাচাই–বাছাই করছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভেসেছেন তাঁরা। তাঁদের অসমসাহসের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। একজন ভিডিওর কমেন্টে লিখেছেন, ‘এটাই রেকর্ড করার মতো একটি ঘটনা।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘অনেক দিন পর একটা প্রকৃত রেকর্ড হতে দেখলাম। তাঁদের সাহস প্রশংসার যোগ্য।’ সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও