মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট, নাম, রোল নম্বর-সহ সবিস্তার তথ্যের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।
অভিযোগ, এর আগে প্রকাশিত ১৮৩ জনের পাশাপাশি এই ৪০ জনও এসএসসি পরীক্ষায় কয়েকটি মাত্র উত্তর দিয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়ে নবম ও দশম শ্রেণিতে চাকরিরত ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের আর একটি তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসাবে চাকরিরত ৪০ জনের নাম, রোল নম্বর-সহ ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) এবং মার্ক শিট প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার। অভিযোগ, এর আগে প্রকাশিত ১৮৩ জনের পাশাপাশি এই ৪০ জনও এসএসসি পরীক্ষায় কয়েকটি মাত্র উত্তর দিয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন। এই তালিকার নাম থাকা সকলের ইস্তফার দাবি তুলেছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি)-র মাধ্যমে নবম-দশমে চাকরি পেয়েছিলেন এই ৪০ জন। যা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করছে সিবিআই। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলায় সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে সিবিআইয়ের দাবি ছিল, উত্তরপত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে যে একটি-দু’টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও অনেকেই ৫০-এর বেশি নম্বর পেয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট, নাম, রোল নম্বর-সহ সবিস্তার তথ্যের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।
এই তালিকা প্রকাশের পর বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দাবি, তালিকায় নাম থাকা সকলকে চাকরি ছাড়তে হবে। সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে বোঝা গেল, শিক্ষক নিয়োগের সর্বস্তরে দুর্নীতি হয়েছিল। আমরা আশঙ্কা করছি, এ ভাবে তদন্ত এগোতে থাকলে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক-সহ সর্বস্তরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা ফাঁস হবে। যে ৪০ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে, তাঁদের সকলকে চাকরি ছাড়তে হবে, এই দাবি জানাচ্ছি।’’
(সৌজন্যে: আনন্দবাজার অনলাইন)