পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি একটি সাংবিধানিক বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, তবে সামরিক আইন জারির কোনো সম্ভাবনা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে মুক্তির আদেশের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে আসিফ বলেন, ইমরান খানের ব্যক্তিগত ও সরকারি মেডিক্যাল প্রতিবেদনের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। কারণ তিনি সুপ্রিম কোর্টে গেছেন হুইলচেয়ার ছাড়াই।
তিনি ইমরানের সমালোচনা করে বলেন, সহিংস প্রতিবাদের ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্যই ছিল না। তবে ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে আসলে উস্কানি দেয়া হয়েছে। এর ফলে কোর কমান্ডারের বাড়ি এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়।
আসিফ বলেন, পিটিআই নেতারা তাদের কর্মীদেরকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা সন্ত্রাসী গ্রুপের মতো কাজ করেছে। আর তারা তা করছে ২০১৪ সাল থেকে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ শুক্রবারের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সভা বাতিল করে এর বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন।
তিনি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাই কমান্ডের সাথে আলাপকালে ইমরান খানের দলের ব্যাপারে আইএসপিআরের মন্তব্যকে অনুমোদন করেন। উল্লেখ্য, পিটিআইয়ের সহিংসতাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করে।
এদিকে ইমরান খানকে মুক্তি প্রদানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরপরই জেইউআই-এফ প্রধান ও পিডিএম সভাপতি ফজলুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। তারা নতুন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে প্রধানবিচারপতি উমর আতা বানদিয়াল বৃহস্পতিবার মুক্তির আদেশ প্রদান করার সময় প্রতিপক্ষদের সাথে আলোচনার জন্য ইমরান খানকে পরামর্শ দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন জোট প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করবে। তবে এবার তরা সম্ভবত পাঞ্জাব প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে পিটিআইয়ের সাথে আলোচনা করবে তারা। তবে একই দিনে সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তাবও বিবেচনায় থাকবে। তবে পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশি ও ফওয়াদ আহমদ কারাগারে থাকায় খুব শিগগিরই আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল