টিএইচজি বাংলা:
কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় টিকিট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমুল কংগ্রেসের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ফেসবুকে লিখেছিলেন,” প্রিয় বলাগড়বাসী জনগন ও জেলা সহ তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্বকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাই,
আমাকে দল দুটি পদ প্রদান করেছিল
(1) 2023 পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য, হুগলী জেলা ( জোনাল 6)
( 2 ) সাধারন সম্পাদক পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য তৃনমুল কংগ্রেস কমিটি,
উক্ত দুটি দলীয় পদ থেকে ব্যক্তিগত কারনে পদত্যাগ করলাম।
বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু যে হেতু আগে আমি একটি চাকরি করতাম, নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য সেটি ছাড়তে হয়েছিল! দু বছরের অধিক সময় হয়ে গেল পঞ্চাশ বার ছোটাছুটি করেও যার পেনশন ও গ্রাচুইটির কিছু পাইনি, তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারছি না। তা হলে খাবো কী?
যেদিন পেনশন পেতে আরম্ভ করবো এই পদ থেকেও সরে দাঁড়াব।
এতদিনে বুঝতে পেরেছি এই রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়।”
কিন্তু আজ তৃণমুল কংগ্রেসের বলাগড়ের বিধায়ক ফেসবুকে লিখেছেন,”আমি বলাগড়ের বিধায়ক । বলাগড় অঞ্চলের যাবতীয় উন্নয়নের দিক আমাকে দেখতে হবে । এক্ষেত্রে কোন ভেদভাব করা চলবে না । রাস্তা বানাতে হবে, যে রাস্তায় দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ হাটবে । অটো টোটো থেকে দামি গাড়ি সব চলবে। রাস্তায় আলো লাগাতে হবে , ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের লাইন। স্কুল বানাতে হবে , হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। অঞ্চলের যাবতীয় দায়- সেই ভার আমার কাঁধে সমর্পিত হয়ে গেছে।
আমাকে সেই দায় দায়িত্ব অর্পন করেছেন বলাগড়ের মানুষ । আমি বলাগড়ে কোন নেতাগিরি করতে আসিনি । তেমন কোন বাসনা নেই আমার । আমি চাই ওই মানুষের ভাই সাথী সমব্যথী- নির্ভরতার কেন্দ্র হয়ে উঠতে । আগামী দিনে সেই প্রচেষ্টাই চলবে।
এই সব মানুষ – যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিধানসভার নির্বাচনটা করেছেন । আজ ভাবতে গেলে বুক কেঁপে যায়- তৃণমূল দল পরাজিত হলে যাদের অনেককে আর আমরা জীবীত দেখতে পেতাম না । কত যুবক লাশ হয়ে যেত, কত গৃহ ভস্মীভূত , লুন্ঠিত হতো , কত মা বোন সম্মান হারাতো- । এই সব মানুষ- আমার কাছে অতি আপন অতি প্রিয়।
বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক বোঝাপড়া বাকি আছে । ওরা আমাদের চেনা শত্রু তাই তেমন ভয়ের কিছু নয় । কিন্ত যারা আমাদের দলের মধ্যে লুকিয়ে থেকে- স্বার্থ , অর্থ , উৎকোচের বিনিময়ে বিজেপিকে গোপন সহায়তা দিয়েছে- যারা বিজেপিতে যাবার জন্য পা বাড়িয়ে বসেছিল, নানা কারনে বিজেপি তাদের নেয়নি- তাঁরা কে কাকে ফোন করে বিজেপির বোতাম টিপতে বলেছে, সব সমাচার ধীরে ধীরে আমাদের গোঁচরে আসছে। এদের সঙ্গে কোনো আপস নয়, লড়াই হবে।
এদের আমরা শনাক্ত করে ফেলেছি । এদের নিয়ে একসঙ্গে পথ চলা আমার পক্ষে সম্ভব হবেনা। পচাত্তর হাজার সেনা ছিল সিরাজদৌল্লার, তবু তাকে হারতে হয়েছিল ইংরেজের তিন হাজার সেনার কাছে- কয়েকটা বেইমান বিশ্বাস ঘাতক ছিল বলে -। আগামী দিনে বেইমান মুক্ত- নিবেদিন প্রান কর্মী দল গড়ার লড়াই চলবে।
সৎ সাহসী জনগনের প্রতি নিবেদিত প্রান কর্মী দল আমার সঙ্গে আছে আমি তাদের সঙ্গে আছি। এদের
নিয়ে দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষে আমার লড়াই চলছে চলবে।
আমি বিশ্বাস করি আর কেউ সাথে না থাকুক দিদি মমতা ব্যানার্জীর আশীর্বাদ আমি পাবো।তিনি আমার লড়াইকে সমর্থন দেবেন।”
এরপর তিনি লেখেন, “জয় বাংলা জয় দিদি মমতা ব্যানার্জী।”