২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে বুধবার বিএসএফের আইজি যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যকে আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনানি পর্বে এএসজি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সঠিক সময়ে সহযোগিতা করেনি কমিশন। ভোটের দিন স্পর্শকাতর এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। পরিকল্পনা না থাকায় অন্যত্র বাহিনী চলে যায়।’’
প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এই সময় বলেন, ‘‘রিপোর্ট দেখে ঠিক বলেই মনে হচ্ছে। দূর থেকে বাহিনী এসেও বসে ছিল। কমিশনের উচিত ছিল সততার সঙ্গে কাজ করা। আপনি যদি আদালতের নির্দেশ গ্রহণ করে নেন, তবে তা কার্যকর করতে হবে। না হলে চ্যালেঞ্জ করতে পারতেন। খুবই দুঃখের বিষয় এত ক্ষতি হয়ে গেল। রিপোর্ট সত্যি হলে বলতে হবে নির্দেশ ইচ্ছাকৃত ভাবে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়েছে।’’
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কী ভাবে আপনাদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করব তা বুঝতে পারছি না। আপনাদের কোনও কাজে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি। আপনারা যা যা বলেছেন সব মেনে নিয়েছি। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ দিয়েছিলাম। একটা ছাতা দিয়েছিলাম। সেই ছাতাও কারও সঙ্গে শেয়ার করেননি।’’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশের ডিজি, এসপি কেউ নির্দেশ পালন না করলে মুশকিল। আমি কলকাতার রাস্তাঘাট চিনি না। আমার চালক আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এটা তাঁর কাজ। কিন্তু চিংড়িঘাটা আমি চিনি। যেখানে আমি চিনি না সেখানে তো সহযোগিতা করা উচিত। মোতায়েনের (কেন্দ্রীয় বাহিনী) পরিকল্পনা ঠিক ছিল না, এটা পরিষ্কার।’’