প্রয়াগরাজে, বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। হামলাকারীরা তাকে রাস্তার মাঝখানে ঘিরে ফেলে এবং অর্ধমৃত না হওয়া পর্যন্ত তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে যেতে থাকে। অর্ধমৃত অবস্থায় আধাঘণ্টা রাস্তাতেই পড়ে থাকে ওই ছাত্র। তার পাশেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা বোনকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে অনুনয় বিনয় করতে থাকে, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে না সাহায্য করতে।
হামলাকারীদের বাধা দিতে কেউ সাহস পায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দশম শ্রেণীর ওই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সোমবার বিকেলে খেরি মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায়, এই ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করার পর মঙ্গলবার ফের উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙে দেওয়া হয়। ঘেরাও করা হয় খেরি থানা। থানার প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পাথর। জনতার হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে অনেক থানার পুলিশ ও পিএসি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অভিযুক্তদের বাড়িতে বুলডোজার চালাতে হবে। ছাত্রের মৃতদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
এদিকে, ডিএম সঞ্জয় খাত্রী নিহত ছাত্রের পরিবারকে দারাগঞ্জে শেষকৃত্য করতে বলছেন, যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি নয়।
ইতিমধ্যেই, ছাত্র হত্যার অভিযোগে খেরি গ্রাম সভার প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্র হত্যার অভিযোগে খেরি গ্রাম সভার প্রধান মহম্মদ ইউসুফকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসও ও চৌকি ইনচার্জকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এই ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভের পর হত্যাকাণ্ডের ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে, ৩ জন নাবালক বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে, দায়িত্বে অবহেলার জন্য এসও নবীন কুমার সিং ও ফাঁড়ির ইনচার্জকে বরখাস্ত করেছেন কমিশনার।