২২ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার, মামলা করলেন এক বধির ও মূক আইনজীবী সারা সানি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই মামলার শুনানি করে। মামলায় অ্যাডভোকেট সারা সানির দোভাষী ছিলেন সৌরভ রায় চৌধুরী, যিনি সারার অঙ্গভঙ্গি বুঝে আদালতে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন করছিলেন।
এর আগে, আদালতের কন্ট্রোল রুম সারার দোভাষী সৌরভকে পুরো শুনানির সময় তাঁর ভিডিও রাখার অনুমতি দেয়নি, তবে তিনি যে গতিতে সারার অঙ্গভঙ্গি বুঝতে পারছিলেন এবং আদালতকে তা বোঝাচ্ছিলেন তা অবিশ্বাস্য ছিল।
এই পরিস্থিতিতে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সহ যারা ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা সৌরভকে দেখতে আগ্রহী ছিলেন। এরপর আদালত সৌরভকে ভিডিও চালু করার অনুমতি দেয়। শুনানি শেষ হওয়ার পর সবাই সৌরভের কাজের প্রশংসাও করেন।
এই বিষয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, অ্যাডভোকেট সারা তাঁর দোভাষী সৌরভ এবং প্রধান বিচারপতির প্রশংসা করে বলেন, সিজেআই একজন খোলা মনের ব্যক্তি, তাঁর কারণে প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। মামলার শুনানিতে আমি ছিলাম না। তাই আমার সিনিয়র সঞ্চিতা মামলাটি ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করেন। তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে প্রতিবন্ধীরাও কারও থেকে পিছিয়ে নেই।
গত বছর, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট কমপ্লেক্সের একটি বিস্তৃত অ্যাক্সেসিবিলিটি অডিটের কথা বলেছিলেন। তাঁর ওই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল বিচার ব্যবস্থা সহজলভ্য করা এবং বিশেষ ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ বোঝা। প্রধান বিচারপতি চলতি বছরের শুরুতে তাঁর দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন। তিনি তাঁর মেয়েদের দেখিয়েছিলেন আদালতে কীভাবে কাজ করা হয়। তিনি তাঁর মেয়েদেরকে এও বলেছিলেন যে, তিনি কোথায় বিচারক হিসেবে বসেন এবং কোথায় আইনজীবীরা দাঁড়িয়ে তর্ক করেন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁদের দুজনকে তাঁর চেম্বারও দেখিয়েছিলেন।