শুক্রবার আদালতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ১৯৯৩ সালের হিন্দি ছবি ‘দামিনী’-র ‘তারিখ পে তারিখ’ সংলাপের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তারিখের পর তারিখ দেওয়া আদালতে পরিণত হবে না। এদিন, ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলাগুলির সমাধানে বিলম্ব এবং শুনানি স্থগিত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আমরা চাই না যে এটি (সুপ্রিম কোর্ট) তারিখ দেওয়া আদালতে পরিণত হোক।
তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫৪টি মামলা এড়ানো হয়। যদি এতগুলো মামলা মুলতবি (মুলতবি বা স্থগিত) থেকে যায় তাহলে তা আদালতের ভালো ভাবমূর্তি প্রতিফলিত করে না। এরপর, প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের কাছে আবেদন করেছেন যে প্রয়োজন না হলে শুনানি স্থগিত করার দাবি করবেন না।
প্রসঙ্গত, একটি মামলার শুনানির সময় উপস্থিত আইনজীবীর দ্বারা মামলা স্থগিত করার দাবিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সুপ্রীম কোর্ট ধারাবাহিকভাবে তালিকাভুক্ত মামলার শুনানি করছে এবং এই সব মামলায় সর্বোচ্চ মুলতুবি করার দাবি করা হচ্ছে। আদালতে এহেন মুলতুবির মামলার তথ্য সংগ্রহ করে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেই ৩ হাজার ৬৮৮ বার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আজই অর্থাৎ ৩রা নভেম্বর ১৭৮টি মামলার শুনানি স্থগিত করার দাবি জানানো হয়। প্রতিদিন গড়ে ১৫৪টি মামলা স্থগিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিচার পেতে যাতে ন্যূনতম সময় অতিবাহিত হয় তা নিশ্চিত করতে আমি আদালতে মামলা দায়ের থেকে প্রথম শুনানির জন্য আসা পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করছি। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, গত দু’মাসে, স্থগিত মামলার সংখ্যা তালিকাভুক্ত মামলার চেয়ে তিন গুণ বেশি ছিল। আমরা মামলাগুলো দ্রুত শুনানি করছি, কিন্তু তারপর একই মামলায় মুলতবি চাওয়া হয়।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও আইনজীবীদের কাছে আবেদন করেন, প্রয়োজন না হলে শুনানি স্থগিত করার দাবি করবেন না।